ঠিক তাই ; ধারে-আসা। একটি কথার প্রতি ধাপে
শব্দ যেই স্তব্ধ হ’য়ে ভাবনা আভার নীলে ঠেকে
সেখানে সিঁড়িতে বসা, পাশে দেখা পশ্চিমী পাতার
লাল তামা আসন্নত নবেম্বরে, রঙা অশ্রুভার
অন্যতার প্রান্ত-নিঃশ্বসিত ; ট্রাফিকের ভিড় থেকে
কেম্ব্রিজের ব্রিজে শোনা সমস্ত নগর দূরে কাঁপে
একটি গুঞ্জন জনতার ; বারে-বারে শীর্ষে থামা,
ঊর্ধ্বে জ্বলে বৌদ্ধতারা, বহুরাত্রিপারে দৃষ্টিনাম ॥
ঘরে ফিরে শুভলক্ষ্মী রেকর্ডের শুভ্ৰাত ভজন
মুহুর্তের কণ্ঠে আনে দ্বাদশ দেউল জাগা তীর,
প্রবাস-সমুদ্রহীন, অকল্প চাওয়ার বুকে স্থির ;
কত দিন হ’য়ে গেলো খুঁজেছি সে পথের লগন ।
নীল আঁকা চীনে হাঁস ফুলপাত্রে উড়েছে মিং যুগে
ডেস্কে তারি কাছে আসা ; শূন্য শান্ত ; বেঁচেছি দৈবাৎ
—ককটেল আতিথ্যে কারো ধূম্রতা বিলাসী কক্ষে ভুগে—
কার্পেটে তুরানী নক্সা, নিয়ে তারি ঐন্দ্রিক দৃক্পাত ৷।
চিত্ৰ-আসি, তীর্থ-আসি : শিরায় মনের দুঃখে ঝড়ে
জমা-মেঘ-সন্তর্পিত ব্যবধান চূৰ্ণ-করা দিনে
পাতঞ্জলি সূত্ৰ পড়ি, কোচে শুয়ে ভাবি, বই খোলা
প্ৰাঞ্জল আয়ুকে কেন প্রত্যহ ধুলোর ধর্মে ভ’রে
অব্যবহিত-হারা আবিস্মিত ইট গেঁথে তোলা ।
আখ্রোটের কাঠে-খোদা কাশ্মীর ভূস্বৰ্গ স্বপ্ন চিনে
চুমকি-বসানো হ্রদ— মনে আছে ? –ধরি বুকে তাই ;
স্বামীজি অখিলানন্দ তাঁর কাছে মধ্যে-মধ্যে যাই ৷।