জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ,
রবি কবির ধাম।
জানি মোরা তাঁকে সবাই ,
বিশ্বজোড়া নাম ।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ,
কবির মহান পিতা ।
ভ্রমণকারী ছিলেন তিনি ,
তোমরা জানো কিতা ?
সারদা মা মাতা তাহার ,
সরস্বতী যিনি ।
রত্নাগর্ভা বলে মোরা ,
সবাই তাঁকে চিনি ।
” সিংহী মামা কাটুম দিয়ে ,”
কবির লেখা শুরু।
ভাবীকালে তিনি হলেন ,
মোদের কবি গুরু।
পড়তে গেলেন ইস্কুলেতে ,
পাঠে নাহি মতি ।
জানলা দিয়ে আকাশ দেখেন ,
দেখেন রবির জ্যোতি।
গাছপালা আর পাখি দেখেন ,
প্রকৃতির ঐ পাতে।
তাদের নিয়ে মনটি তাহার ,
কাব্য কথায় মাতে।
গুরুমশায় দেখেন খাতা ,
কাব্য কথায় ভরা ।
ভাবেন বারেক নয়কো তাহার ,
অন্য কারো করা ।
বলেন তাঁরে এসব নিজে ,
লিখেছো কি রবি ?
আমার লেখার সনে মেলাও ,
জানবো তুমি কবি ।
গুরু তাঁরে দিলেন ছন্দ ,
মিলাতে তায় কথা ।
মেলান রবি বসায়ে তায় ,
শব্দ বন্ধ তথা।
দেখে তাহা বলেন গুরু ,
বলছি শোনো রবি ।
ভাবীকালে তুমি হবে ,
মস্ত বড়ো কবি।
গুরুর বচন সত্যি হলো ,
নোবেল পেলেন তিনি ।
বিশ্বকবি নামে খ্যাত ,
হয়ে গেলেন যিনি।