ন্যাড়া শিমুলের রাঙা রক্ত নিয়ে
বসন্ত-হৃদয়ের লিপি তোমায় লিখি ।
বাতায়ন খোলে সে লিপির ছেঁড়া টুকরো
ফাল্গুনী মাতাল বাতাসে তুমি
বিপ্লবের লাল নিশান করে উড়িয়ে দিলে ।
আমার যৌবনের প্রমত্ত ঘোড়ার লাগাম
বলো আর কে রোধিতে পারে ?
জগজ্জননীর বেদীতলে অঞ্জলি দিতে
যে আমি অবাক হতাম ,
বিগ্রহের বদন পালটে
তোমার বদন স্থাপিত হতে ,-
সেই আমি এখন –
বিস্ময়ে দেখি বিগ্রহের আসনে
গ্ণদেবতার বুভুক্ষু বদন ।
যৌবন তাই আর তোমায় খোঁজে না ;
আমার যৌবন দিশারী হয়ে গেছে
অগণিত বুভুক্ষু কঙ্কালের মিছিলের আগে ।
ক্ষেপার মতো পরশ পাথরের খোঁজে
আমি নির্বিকার তাপস –
খুঁজি বিপ্লবের নৈবেদ্য – শিমুল ,পলাশ।