বিদিশা একটি সাধারণ মেয়ে,
মধ্যবিত্ত সমাজের প্রতিচ্ছবি সে।
বাবার মুদির দোকান বাজারের মাঝে
ভালবেসেই বড় করেছেন বিদিশাকে।
কলেজ শেষে চাকরির অপেক্ষায়
এমন সময় খবর এলো সমরের।
সমর,মানে উচ্চবিত্ত সমাজের মুখ
সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব পেল বিদিশার বাপ।
কোন দিকে না তাকিয়ে রাজি হয়ে গেল
যথাসময়ে বিদিশার বিয়ে ঠিক হল।
সমরের দিক থেকে দাবি-দাওয়া ছিল।
পাঁচ লাখ টাকা সাথে আসবাব সবই।
চুপ করে ছিল মেয়েটি,
বিয়ের দিন উপস্থিত হল।
বিদিশার বাবা চিন্তামগ্ন ছিল
পাঁচ লাখ টাকা জোগাড় না হলো।
বিয়ের আসরে সমর যখন এলো
বিদিশার বাবা তাদের পায়ে পড়ে গেল।
সমরের মা তখন চিৎকার জুড়লো।
লুকিয়ে বিদিশা প্রশাসনের সাহায্য নিল।
পুলিশ এসে সবাইকে পাকড়াও করে
জেলহাজতে চালান করে পণ চাইবার তরে।
পণপ্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে বাবাকে বাঁচালো
ইতিহাসের পাতায় বিদিশা নাম যে লেখালো।