বাংলায় আমরা জন্ম তাই বাংলা আমার প্রাণ,
বাংলা আমার মাতৃভাষা বাংলাকে দিই মান।
মনের ভাব প্রকাশিত করি বাংলায় অতি সহজে,
কাব্য গান কবিতা উপাখ্যান বাংলায় লিখি গরজে।
শৈশব হতে সহজপাঠ আর বর্ণপরিচয় দিয়ে শেখা,
বাংলায় সৃজন কথোপকথন বাংলায় পড়াশোনা লেখা।
বৃটিশ রাজত্বে ইংরেজী প্রসার পারেনি বাংলাকে ঢাকতে,
বাংলা ভাষার মর্যাদা আলাদা গুরুত্ব বেশি তুলনা আঁকতে।
অথচ এখন কতই বদল সাহেবিয়ানায় সব রপ্ত,
বাংলা নাকি বলতে কষ্ট আসেনা মুখে খুব শক্ত।
ইংরেজী স্কুলে পঠন পাঠন ইংরেজী ঠাঁটে আচার,
স্বচ্ছন্দে মুখে আসেনা বাংলা ইংরেজীটাই কালচার।
শৈশব হতে ইংরেজী স্কুলে পিতামাতা করে ভর্তি,
স্বতস্ফূর্ত বললে ইংরেজী বাবা মায়ের মনে স্ফূর্তি।
অহং মনে উঁচু সুরে বলে আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসেনা,
ইংরেজী পড়ে হয়েছে বড়ো বাংলাটা তাই জানেনা।
ক’জন এখনো আছে এমন বাংলা ভাষাকে ভালোবাসে,
চলন বলন ইংরেজিয়ানা আজ বাঙালি পরিবার গ্ৰাসে।
ঘরে ঘরে শুধু যত ছেলে মেয়ে পড়ছে ইংলিশ মিডিয়াম,
গরিব দিন সন্তান কাছে কেবল বাংলা স্কুলের দাম।
দুনিয়াদারির সাথে পাল্লা দিয়ে সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়া,
বাধ্য হয়েই কষ্ট খরচে সন্তানদের ইংরেজিতে লেখা পড়া।
বাংলা অন্তরে ভালোবাসলেও ইংরেজী উন্নতির শাখা,
পরিস্থিতির চাপে পড়েই বাংলা ভাষাকে দূরে রাখা।