বসুন্ধরা গো মাটি মা আমার ফুলে ফলে তুমি সুশোভিতা,
নদ নদী নালা সাগর পাহাড় বনানীতে তুমি সজ্জিতা।
উর্বরা ভূমি দিয়েছ মা তুমি শস্য শ্যামলা ঋদ্ধিতা
প্রতি ঋতুতেই দিয়েছ পুষ্প পুজিতে প্রাণের দেবতা।
প্রাণের বিকাশ তোমাতেই গো মা তোমারই কোলেতে বেড়ে ওঠা,
ফুল সৌরভে ঘুমিয়ে পড়ি মা পাখি কলতানে জেগে ওঠা।
চাঁদের কিরণে রূপালি বরণে নিশুত রাতের ঘুম গড়া,
স্বপ্নের শেষে মুগ্ধ আবেশে প্রভাত কিরণে উঠে পড়া।
কুহু কেকাদের বনে বিচরণ কলাপের শোভা মনলোভা,
বনবিবি সাথী কতো পশু পাখি প্রাণ প্রাচুর্যে বনবিভা।
জলেতে জলজ প্রাণীরা বেড়ায় হংস মিথুন আকাশে ভাসে,
রকমারি প্রাণী পতঙ্গ না জানি বিভঙ্গে ভাসে বিশ্বাসে।
শৈশব আর যৌবন ঘিরে কতো আশা প্রাণে মাতৃকা,
যৌবন হেথা উপবন মা গো কাশী বারাণসী স্বস্তিকা।
তোমাতে জনম তোমাতে মরণ করি বিচরণ কতো যোজন,
তোমাতেই লয়, তোমাতেই ক্ষয়,হে মাতঃ ধরণী লই শরণ।
নমামি গঙ্গে পদ্মা বঙ্গে জলে জঙ্গলে জুড়ায় প্রাণ,
স্নিগ্ধ আকাশ উদার বাতাস সুশীতল জল করি গো পান।
ওঙ্কার ধ্যান বৈদিক গান ভোর সকালের যত আজান ,
ধর্ম, বর্ণ, কাম ও মোক্ষ সবাইকে তুমি করেছ দান।।
সূর্য চন্দ্র রয়েছে প্রহরী গ্রহ তাককারা পথ দেখান
পর্বত শ্রেণী অগণিত জানি ঝর্ণা ও নদী জুড়ায় প্রাণ।
বন্দে জননী অমৃতদায়িনী বন্দনা তব করি মা গান
নিজেই নিজেকে বাঁচাও জননী মানুষ ই ধ্বংস করছে প্রাণ।।