এমন শ্রাবণ দিনে আকাশের বুকে একতারা টির
তারে বাজে বর্ষার গান,
রিমঝিম সুর তুলে বৃষ্টি পড়ছে অবিরাম।
ভিজছে মাঠ-ঘাট, ভিজছে ঘর- বাড়ি, ওই একাকী পথ গিয়েছে বেঁকে, বৃষ্টি পড়ছে সেথায় ঝিরিঝিরি।
ভিজছে মানুষ-জন, ভিজছে অন্ধ কানাই ভিখারী,ভিজছে গরু-বাছুর, আপনমনে দুটি শালিক বৃষ্টি ধারায় করছে খুনসুটি!
রান্নার চালে বৃষ্টির শব্দ, আকুল ধারায় চুঁইয়ে পড়ছে বৃষ্টি ঝর্ণার জল, সোহাগী সবুজ পাতায় বৃষ্টির ফোটা করছে টলমল।
অদূরে ওই কাজলা মেয়ে জানলার গারদ ধরে বৃষ্টি দেখে, ঝাপসা চোখে কান্না শোনে, মেঘের বুকে ভাসতে থাকে, শোনে আকাশের গান।
কাজল চোখের মেয়ের পিঠের পরে আজানুকেশ ভিজিয়ে নিয়ে, বিন্দু বিন্দু গড়িয়ে পরছে জল!
শহর ছাড়িয়ে দলছুট বাদলা মেঘ যায় হারিয়ে, আকাশের বুকে আজ ভীষণ অভিমান!
এমন ঘন ঘোর বর্ষায়, আমার শহর ভিজে একসার। শুকনো মরা ডালে নতুন কুঁড়ির বাহার, বর্ষার শহরে মানুষ কেবল শরীর ভেজায় , মন ভেজানো বেশি দামি!
একনাগাড়ে বৃষ্টি পড়েই চলে, তবু কেন ভেজে না মানুষের মন-মুখ!
তোমরা মিতা সেজে মিথ্যা অপবাদ দাও, কেন নোনা জলে ভেজাও কবিতার বুক!