অগুনতি অস্ফূট অব্যক্ত বর্ণমালার দাপাদাপি
নিরন্তর টের পাই মনের চিলেকোঠা জুড়ে,
ব্যথাময় কাতর গুঞ্জনে তারা ছলছল চোখে আমার বুকে মুখ ঘষে কাঁদে হাপুস হুপুস অনুচ্চারিত শব্দে,
তাদের নীরব কথার ঢেউ উদ্বেল করে তুলে আমায়,
আমি বিমূঢ় বেদনা ভারে শব্দের দোরে কৃপা ভিখারী হয়ে আঁচল পেতে ধরি,
বীণাপাণির খাসতালুকের অন্দরমহলে কিছু বাছাই অনুপম শব্দের তালাসে-
অদম্য প্রাণের আকুতি অশ্রুফুলে সাজিয়ে আর্তি রাখি সে শুধুমাত্র তোমার জন্যেই,
বহুদিনের লালিত স্বপ্নের শোভন রূপ দেবার তাগিদ,
আমার নীরব কবিতায় লিখে যাবো সকল ব্যথা ,মান অভিমানে ভরা কথা যাতনার রক্তের তুলিতে,
একান্ত বসে তোমাকেই শোনাব , কিন্তু,তার
আগে কোত্থাও যেতে পারবে না তুমি, কোত্থাও না।
জানি বর্ণমালার আবেগী ছোঁয়া তোমাকে স্পর্শ করবেই,
ঠিক জানি,দীর্ঘশ্বাসে বুক ভারী হবে তোমার,
আমার শূন্যতা অনুভবে,হয়তো বা উন্মুখ তিয়াসে খুঁজবে।
তখন নাহয় মরমী ভালোবাসার স্পর্শে একটু ছুঁয়ে দেখো কবিতার পঙক্তিগুলো!
হয়তো ,তখন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবো আমি,
রয়ে যাবে শব্দের মায়াবী বিন্যাসে ললিত উপমায় আমার চাওয়া পাওয়াগুলো তোমাকে নিয়ে লেখা বর্ণমালার হাত ধরে-