সমস্ত নীরবতা ভঙ্গ করে হঠাৎ ফোনটা জেগে উঠল,
ভীষণ আওয়াজে গোটা বাড়ী মাথায় করলো।
অস্থির মনে ছুটে এসে তাকে শান্ত করার চেষ্টায় আমি,
ফোনের এপার থেকে অভিমানের সুরে বললাম, তাড়াতাড়ি বল কি বলবি ?
বেশি সময় নেই আমার হাতে….
ওপার থেকে একটা শান্ত ধীর কণ্ঠে ভেসে আসলো,
বিকালে কি করছিস আজ, একটু কি বেড়াতে পারবি ?
আমি বললাম, বেড়িয়ে কি হবে ?
সেই তো আবার নতুন করে ঝগড়া করবি ??
ফোনের ওপার থেকে জবাব এলো,
আমি কি শুধু ঝগড়াই করি, ভালোও যে বাসি অনেক…..
থাকে যে বড়ো অল্প সময়, তোকে পাই ক্ষণেক।
মন যে চায় তোকে নিয়ে দিগন্তে ভেসে যেতে,
হিমেল হাওয়ায় হঠাৎ করেই উল্লাসে হারাতে।
ইচ্ছা করে তোর চোখের কাজল চুরি করি,
ওই কাজল কালো চোখের আগুনে সদাই পুড়ে মরি।
এপার থেকে রাগত সুরে গর্জে উঠি আমি,
মিথ্যা তোর সকল কথা, একটাও নয় দামী।
তোর চোখে আমি দেখি প্রথম রবির আলো,
হৃদয় ঘরে উঁকি দিয়ে ঘুচায় মনের কালো।
তোর হাসিতে মনের আঙ্গিনায় নেমে আসে ভোর,
তোর শরীরের গন্ধ মেখে থাকবো জীবনভর।
অনেক হলো কথার ছলে কল্পের জাল বোনা,
ঝগড়া করে চাইনা নিতে নতুন যন্ত্রণা।
দেখা যদি নাইবা হলো মন খারাপের দিনে,
কল্পনার ডানা মেলে উড়ে যাব তোর হাত ধরে
গন্ধে ভাসা তোর মনের ওই কুঞ্জবাগানে।
ফোনের ওপার থেকে ভেসে আসলো নীরব দীর্ঘশ্বাস,
দূরে থেকেও জানালো সে, পাশে থাকার আশ্বাস।
যেনো, একটু আগেই ঝড় থেমে গেল,
ফোন আবার নিশ্চুপ নিরবতা ফিরে পেলো।