রংতুলির ঐ রূপালী চাঁদ ধরা দেয় ওদের যত্নের খাতায়…
স্বরযন্ত্রে ভেসে ওঠে কোকিলের সুর ধ্বনি।
রামধনুর ভেলায় চড়ে ওরা মাতে বসন্ত উৎসবে…
এই অমানিশার আকাশে অন্তহীন কৃষ্ণগহ্বর!
রামধনুর ওড়না ছিঁড়ে হাত বাড়ায় দুর্যোগ!
এখানে পল্লীর দরজায় ভোরাই সুর তোলে কাকের কর্কশ স্বর –
অস্থির কশাঘাত বাজে নিষ্প্রাণ গিরিকন্দরে!
জাগরণের আভাস মেলে না কোনো ঘাসে কোনো ক্ষুদ্রকণায়!
ঘুমের কোলে ঢলতে থাকা রাতের চোখে দেখি ভয়ার্ত ছায়া..!
প্রাচীন বটের রন্ধ্রে রন্ধ্রে শুনি অস্তিত্ব রক্ষার আর্তি..!
ম্লান ধ্রুবতারার পিঞ্জরে পুঞ্জীভূত নীল বেদনা..!
যান্ত্রিক স্রোত থেকে নোনাবাষ্প অবিরাম মিলিয়ে যায় বাতাসে
মরুর আকাশে পাক খেয়ে চলে চিল আর শকুন…
তৃষ্ণার মাটিতে বিয়োজনের থাবা বসায় বিতৃষ্ণার অণুজীব!
শুকিয়ে আসা তরুর রুগ্ন শাখায় শুয়ে ঝরার দিন গোনে ব্যর্থ কিংশুক…।