বরফ ঢাকিয়াছিল ধরণীর বুক
অখণ্ড শীতল শুভ্র চাদর পরিয়ে।
রাশি রাশি চন্দ্রালোক নিঃশব্দে ঝরিয়ে,
আপাণ্ডুর করে’ ছিল নীলিমার মুখ॥
সেদিন ছিল না ফুটে শিরীষ কিংশুক,
গিয়েছিল বর্ণ গন্ধ সকলি মরিয়ে।
তুষারের জটাভার শিরেতে ধরিয়ে
বৃক্ষলতা সমাধিস্থ ছিল হয়ে মূক॥
পাতার মৰ্ম্মর আর জল-কলরব,
হিমের শাসনে ছিল নিস্তব্ধ নীরব॥
পৃথিবীর বুক হতে তুষার সরিয়ে
সেদিন দেখিনি আমি, কোথায় গোপনে,
সুযুপ্ত ফুলেরা সবে নয়ন ভরিয়ে
রেখেছিল বসন্তের রক্তিম স্বপনে!