লুকোচুরি খেলা ছলে চিত্ত মম হলে নিলো সখা
শরমের হোমানলে লাজুকতা পুড়ে মৃদু আঁচে,
হৃদি মাঝে সোহাগের বীণা ভিজে প্রেম সুখ নাদের,
অভিসারী হয়ে মন গোপনে নিবিড় সঙ্গ যাচে।
নির্জনতা সঙ্গী করে হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছেটা
ক্ষণে ক্ষণে বিচলিত হয় প্রেম প্রকাশের তরে,
ইতিউতি চেয়ে দেখে আকুলতা মনে সারাক্ষণ
উদগ্ৰীব মননের বেহায়া ভাব উছলে পরে।
শিথিলতা দূরে ঠেলে মন রাঙে ভাটিয়ালি সুরে
যেন সুদূরের পানে যেতে চায় বাউলের বেশে,
কল্পলোকে ডানা মেলে ভেসে চলে তাকে কাছে পেতে
আনমনার আবেশেতে মাদকতা ধীর লয়ে মেশে।
বিপদের গভীরতা ছাড়িয়ে উর্ধ্বশ্বাসে গোপনে
বিক্ষিপ্ত পায়ের ছাপ ফেলে যায় ধরণীর ‘পরে,
অবলা আবেশে স্তব্ধ হয়ে রয় আবেগী হৃদয়
আপন মনেতে শুধু হৃদ বেদনা গর্জন করে।
সঙ্গোপনে ভাবি ক্ষণে যাই সম্মূখে সাহসী হয়ে
ভালোবাসার কথা বলে মিলে যাব দুজনেতে প্রেমে।
প্রেমান্ধতার ব্যকুল বিহার অনুকূল আধারে
অমিয় সুধা রসে ভাসবো সুরম্য সুখ হেমে।
সুধা ঝরা সরসতা ভালোবাসার গভীর স্পর্শে
অঙ্কুরিত মন তলে নব প্রেম কাব্য রচনায়,
মগ্নতা আনবে চিত্তে সোহাগের আলাপন কালে
রাঙবো ইমন রাগে দীপকের সুর ভাবনায়।
পড়ন্ত বিকেল বেলা ইচ্ছেরা ছুটে যেন আবেগে,
দুরন্ত হাওয়া হয়ে বেদুইন হয়ে দূর পথে।
বিবসনা জ্যোৎস্না রাতে ছেয়ে থাকা চন্দ্রীমার টানে,
বসন্ত বিলাসে মন যায় চলে প্রেম আশা রথে।
বিধিলিপি কি যে ভালে যদি হয় সখা সনে দেখা,
ফাগের আগুনে রাঙা পলাশের রঙ চুপিসারে,
অন্তরের অনুরাগে দেবো হৃদে দয়িতার রেখা।