এই যে দাদু…
তোমাগো অনেক দোষ আচে
মুই আবার কি দোষ করলাম দাদুভাই ?
কমু …?
হ.. হ… কও
কমু ?
কইয়া দিমু কইলাম কিন্তু…..
আইচ্ছা দাদু ; তুমি যে হেইদিন কইলা
তোমাগো একখান কত সুন্দার দ্যাশ আছিলো ?
হেই দ্যাশের মাটিতে সোনা ফলতো শুনছি..
পুকুর; ঘাট; খ্যাত খামার সবই ছিল নাকি তোমাগো ?
হ.. হ… দাদুভাই তুমি ঠিকই শুন-ছো
তাইলে তোমরা ওখান থেইকা আইলা ক্যান?
চুপ কইরা খারাইয়া রইছো ক্যান দাদু ?
প্রশ্ন করলাম; উত্তরডা দিয়া দাও
আইতে তো চাইনাই-রে দাদুভাই…
প্রাণ ডা বাঁচাইবার লাইগা চইল্লা আইতে হইলো
এ্যার ভিতর আমার দোষ দ্যাখলা কনে দাদুভাই?
আচ্ছা তুমি দ্যাশটা ছাড়লা কাগো লাইগা ?
দাদু আবার চুপ কইরা রইচে..
যাগো লাইগা দ্যাশ ছাড়ছ তাগো সোগায়-ই আবার ত্যাল মাখাইতাছ?
এই দ্যাশে তো তোমাগো খাদ্য;বস্ত্র;বাসস্থান;চিকিৎসা; স্বাস্থ্য;
এমনকি চাকরিবাকরির মত ব্যবস্থাও কইরা দেওয়া হইছে
তোমাগো মইধ্যে কেউ কেউ আবার বড় বড় নেতা-মত্রীও হইছো এই দ্যাশের
তাইলে তোমরা যাগো লাইগা দ্যাশ ছাইড়া আইছো এই হানেও তাগো মাথায় ত্যাল মাখাও কেন?
তোমার বোতল, তোমার ত্যাল,
তুমি কার সোগায় বা মাথায় মাখাইবা
ঐডা তোমার এক্কেবারেই ব্যক্তিগত ব্যাপার
কিন্তু তোমরা একবার ভাইবা দেখছো ?
আমাগো পরবর্তী প্রজন্মের কত বড় সর্বনাশ তোমরা কইরা গেলা ?
অহন যদি কোনদিন আমাগো এই দ্যাশ ছাইড়া অন্য কোথাও যাইতে লাগে
তাইলে মোরা কোন জায়গায় যামু কইয়া যাও অহন
তহন মোরা কাগো সোগায় আর মাথায় ত্যাল মাখামু?
ত্যাল মাখাইতে মাখাইতে সব ত্যাল শ্যাষ কইরা ফালাইছ যে
একটা বার নিজের নাতিপুতিগো কথা ভাবলা না দাদু?
অখন বুঝতে পারছ তোমার দোষ কোতায় ?
এই দ্যাশটার উপার শুইয়া-বইসা; গায়ে বাতাস লাগাইয়া খাইছো আর ঘুমাইছ
আবেগের জোয়ারে ভাসতে ভাসতে বিবেকের মরণ হইছে তোমাগো
এই দেশটারে অখনও নিজের দ্যাশ মনে করতে পারো নাই
এই দ্যাশটারে কেবল তোমরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছো
রাষ্টের বিন্দু মাত্র ভালো মন্দ চিন্তা করনাই।
জীবনে দ্যাশের গপ্পো অনেক হুনছি
গর্বিতও হইছি অনেকবার
কিন্তু মোরা যে এইরহম নিচু মানসিকতার বাঙাল এই কথা তো তুমি মোরে কখনো কও নাই দাদু …!
মোরা যে এত স্বার্থপর জাত হইয়া গ্যাছি ভাবতে কষ্ট লাগতাছে।