প্রলয়শিখা
বিশ্ব জুড়িয়া প্রলয়-নাচন লেগেছে ওই
নাচে নটনাথ কাল-ভৈরব তাথই থই।
সে নৃত্যবেগে ললাট-অগ্নি প্রলয়-শিখ
ছড়ায়ে পড়িল হেরো রে আজিকে দিগ্বিদিক ।
সহস্র-ফণা বাসুকির সম বহ্নি সে
শ্বসিয়া ফিরিছে, জরজর ধরা সেই বিষে।
নবীন রুদ্র আমাদের তনুমনে জাগে
সে প্রলয়শিখা রক্ত-উদয়ারুণ-রাগে।
ভরার মেয়ের সম ধরা হয়ে অপহৃতা
দৈত্য-আগারে চলিতে কাঁদিয়া মরে বৃথা;
আমরা শুনেছি লাঞ্ছিতার সে পথ-বিলাপ,
সজল আকাশে উঠিয়াছি তাই বত্র-শায়ক ইন্দ্রচাপ
মুক্ত ধরণি হইয়াছে আজি বন্দিবাস,
নহে কো তাহার অধীন তাহার থল-জল-বায়ু নীল আকাশ।
মুক্তি দানিতে এসেছি আমরা দেব-অভিশাপ দৈত্যত্রাস,
দশ দিক জুড়ি জ্বলিয়া উঠেছে প্রলয়-বহ্নি সর্বনাশ!
ঊর্ধ্ব হইতে এসেছি আমরা প্রলয়ের শিখা অনির্বান,
জতুগৃহদাহ-অন্তে করিব জ্যোতির স্বর্গে মহাপ্রয়াণ।