শ্মশানের চিতা মতো জ্বলছি নিত্যদিন,
পৃথ্বী ‘পরে মহাকালের লীলা অন্তহীন।
জীবন পথের নৌকাখানি টালমাটাল বহে,
বেলাশেষের গান মনকে প্রতিমুহূর্ত দহে।
রাহুর গ্রাসে চন্দ্র যেমন অন্ধকারে ঢাকে,
জীবন শেষে একাকীত্ব আসে সময় বাঁকে।
কত হিসেব কষা মনে স্মৃতির আবডালে,
জীবন শ্বাস হতাশাতে ধুঁকে অন্তরালে।
ঘুণপোকারা হিংস্র দাঁতে কাটছে সমাজ রীতি,
স্বার্থান্বেষী হয়ে সকলে ঘটায় সম্পর্কের ইতি।
লাটাইবিহীন জীবনঘুড়ি উড়ছে বেহাল হয়ে,
হঠাৎ কখন পড়বে তলে আঘাত প্রাণে সয়ে।
পরিবারের মোহ মায়া কেবল ডাকে পিছু,
অসহায়ের মত দেখি উপায় নেই যে কিছু।
জীবন, যৌবন, সুখ অতীত মেনে নিয়ে মনে,
জীবন তরী বেয়ে চলি একাই আপন মনে।