কবি তাঁর কবিতায় , ‘ আকণ্ঠ সংসারী ‘শব্দবন্ধ
বদলে ‘ নিরস্ত নদী ‘ বসাতেই ,
হৈ হৈ বিচ্ছিন্ন বন্ধুরা নদীকে ঠেলতে ঠেলতে
নিয়ে গেল সমুদ্রের কাছে ।
যে নদী আকণ্ঠ আটকে ছিল এতোকাল
মুক্ত হলো আজ ।
আমারও মুক্ত -থাকা- ইচ্ছের কাঁধে
ভর করে আছে ,
…..ইত্যাকার মামদো মুদীখানার গন্ধমাদন পর্বত !
কবিকে চুপিচুপি বলি– গন্ধমাদনটা সরিয়ে
কৈশোরের অনর্গল চোখ এঁকে দাও ।
কবি বলেন– কাঁধের উপরে চোখ ?
বড্ড বেমানান হবে । দাঁড়াও বরং ,
ময়নাদ্বীপ থেকে এক ঝাঁক প্রসন্ন প্রজাপতি
এনে তোমার কাঁধে বসিয়ে দিচ্ছি ।
আমি বললাম– উড়ে যাবে তো !
স্মিত হেসে কবি বললেন–তোমার কৈশোরের
পবিত্র বিমুগ্ধ চোখের ভালবাসা পেলে ,
ওরা তোমাকে ঘিরে রাখবে আজীবন ।
অনন্তর , আমারই কৈশোরের চোখ খুঁজতে খুঁজতে
প্রথম- সাঁতার- শেখা নিরস্ত নদীর পাড়ে
এসে দেখি , আমারই বিচ্ছিন্ন বন্ধুরা সমবেত
কখন সেই আবাল্য নাবাল থিতু নদীকে
ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে গেছে মোহনার কাছে ,
আমি টেরই পাইনি ।
মাথা নিচু করতেই দেখি , আকণ্ঠ সংসার
আমার নিম্নপ্রদেশে থিকথিক করছে !
আমার চক্রব্যূহ- চিৎকার বোধহয়
কবির কানে পৌঁছলো না ।
দায়িত্ববান কর্তব্যের পৌরাণিক ভীড়ে
দাঁড়িয়ে রইলাম একা ।