“হ্যামলেট” নাটকের সেই বিখ্যাত উক্তি যেখানে
রাজপুত্র হ্যামলেট বন্ধু হোরাশিওকে ব্রহ্মান্ডের রহস্যসম্পর্কে সচেতন করেছেন,তেমনই মহাভারতে
শ্রীভগবানকেও তার ব্যাপ্ত বা বিশ্বরূপ দর্শন করাবার জন্য দিব্যদৃষ্টি দান করতে হয়েছে। এ যুগে
অবতার বরিষ্ঠের “কথামৃত” ও প্রতিভা বা অতি মেধাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই মনে হয় ব্রহ্মজ্ঞ
পুরুষ ই পূর্বাভাস বা ভবিষ্যত বানী ঠিক ঠিক করতে সমর্থ।
তা ব্যাক্তি, দেশ বা পৃথিবী যারই হোক। তাহলে কিরো, বেনহ্যাম বা ভারতের জোতিষ শাস্ত্র কি মিথ্যা!
তা তো হতে পারে না। তবে সেগুলো গণিত বা চিহ্ন বিজ্ঞানের সহায়তায়
মানুষের স্বভাব বা প্রবণতা সম্পর্কে মনোজ্ঞ নির্দেশ
প্রদান করে মাত্র। কিন্তু সময় ও প্রকৃতি আমাদের
ওপর কি প্রভাব ফেলবে তা বোধ হয় বিজ্ঞানের সাহায্যে সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।
তাই সাধনা জাত উপলব্ধির আলোকের কথা চিন্তা করেছিলেন মনীষীরা।
কুমারী দ্রৌপদীর প্রশ্নের উত্তরেও ভগবান বলেছিলেন তিনি পরিস্থিতির সাপেক্ষে তার প্রবণতা দেখে মানুষকে চিনে নেন। আর যার
কর্ম সর্বোত্তম, সেই যুগমানব হয়। এখানেই মনে হয়
খনা, বরাহদেব বা নস্ত্রাদামুস আলাদা হয়ে যায়
পুঁথির বস্তুবিদ্যা থেকে। অক্ষয় হয় দীনবন্ধুর বানী
“ব্রহ্ম এঁটো হয় না”।