১.
লোভী আমি, নারায়ণ শিলা হয়ে শুয়েছিলাম রাস্তায়। গোঁড়া-ধর্মনিষ্ঠ তুমি তুলে নিয়ে গেলে তোমার বাড়িতে। কোনোদিন জল দিলে না,
শুধু বলে ছিলে, “মেয়েদের নারায়ণ সেবা করতে নেই”।
২.
বদ্ধ ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছি, ধূপের গন্ধ আছে, ভাবলাম তুমিও আছো। মাথাব্যথায় ঘুম ভেঙে গেলো;
একি, তুমি নেই!
বজ্জাত ধুপ নিভে গিয়ে গন্ধটা ভিক্ষে দিয়ে গেলো শুধু!
৩.
মানুষের রূপে প্রেম হয়ে এসেছিলে, আমি ঠুঁটো হাতে আগলে রেখেছিলাম।
কবে সেই ঠুঁটো ভেদে চলে গিয়ে কলম রেখে গেলে..
এখন আমায় উত্তর দিতে হয়, “তুমি প্রেম ছিলে নাকি কবিতার দেবী?”
৪.
তুমি চাঁদ ভালোবাসো, অথচ রাত হলে বেরোতে ভয় পাও। তুমি পাহাড় ভালোবাসো, অথচ উচ্চতা ভয় পাও। তুমি লাল প্রেমি, অথচ রক্ত দেখলে লুকিয়ে বেড়াও..
আমি ভীতু, আমি ভয় পায়। তুমি এটা না বলে বসো, “তুমি আমায় ভালোবাসো”!
৫.
সাঁওতাল কৃষ্ণবর্না কন্যা, তুমি নাকি সুখের মুখ দেখোনি। অনীহা-অস্পৃহতা নিয়ে বেঁচে আছো, পাতার পর পাতা লিখে গেলে “জীবন মানে অভিশাপ”।
তারপর জীবনের সৌন্দর্য খুঁজতে গলায় দড়ি নিলে, এবং শেষ দু-মিনিটে তুমি সে সৌন্দর্য যাপন করে নিয়েছো।
অথচ আমার বিশ্বাস, ‘আত্মহত্যা’ বলে ভুল করছে সব্বাই..