মালীর আজ আশ্রয়স্হল এই মহীরুহ বটবৃক্ষ–
যার তলে তার জীবনের স্মৃতিচারণ,
জানেন আমার দুই সন্তান–
এক আমার ছেলে যার জন্মের সময় পত্নীবিয়োগ হয়েছিল–
মালীর কাজ করে বাবা ও মায়ের ভালোবাসা দিয়েছিলাম–
কত পরিচর্যা করলেই সন্তান বড় হয়
মানুষ তাইতো হোমো সেপিয়েন্স।
আর এক সন্তান যার আশ্রয়ে আছি–
যার শাখাপ্রশাখা দিয়ে আদর খাচ্ছি,
তাকে নানান আগাছার মাঝে পরিচর্যা করেছি।
এই বট ও আমার সন্তানের মতো পরিচর্যা করে বিশাল হয়েছে–
তার জন্য দিতে হয়েছে শুধু জল―
আর সন্তানকে রক্ত জল করে বড় করতে হয়েছে!!
বটের ও গালভরা নাম ‘ফাইকাস বেঙ্গলেন্সিস”―
সে তার মালী পিতাকে আশ্রয় দিয়েছে।
আর ঐ মানুষ সন্তান হোমো সেপিয়েন্স ―
যে মালী বাবার পরিচর্যায় বড় তো হলো
কিন্তু মানুষ হলো না―
সে ঘর থেকে বাবাকে ঘৃণায় ছুঁড়ে ফেলেছে
মালী বাবা জানলে তার বৌয়ের প্রতিপত্তির কাছে হার হবে!
আজ আমার অন্তিম দিন বিদায় বেলা উপস্থিত―
সন্তানের দেওয়া মুখে আগুন না জুটুক―
আরেক সন্তানের কোলে আশ্রয়স্হল পেয়েছি ।।