বলীর পাঁঠাকে বলি দেবার আগে নেড়েচেড়ে নিঁখুত দেখার পর মনোনীত হয়–
টেঁপির বিয়ের আগেও টেঁপিকে ঘষে মেজে দেখে শুনে বিবাহের জন্য মনোনীত হয়।
যৌতুকের সামগ্রী কড়ায়গণ্ডায় মেপে যাচাই করে নেয় শ্বশুর-বাড়িতে–
বিয়ের পর একটা সাইকেলের জন্য চলে অকথ্য অত্যাচার।
টেঁপি আশায় থাকে ওই বুঝি তার বাবা সাইকেল নিয়ে এল!!
বলতে পারো কেন কাঁদে সে বোবা কান্না!!
যুগ যুগ ধরে মেয়েরা হচ্ছে পণ বলি।
টেঁপি কষ্টে প্রায় বধির হয়ে গেছে–
প্রতি মূহুর্তে সে ধর্ষিতা সমাজের কাছে!
তার কান্নার নদীকে ফিসফিসিয়ে বলে অশ্রুনদী বাবাকে আসতে বলো!
টেপির মাড়ভাত জোটে না জোটে অকথ্য গালিগালাজ আর মার!
রক্তাক্ত হতে হতে টেঁপি ঢলে পড়ে ভূমিতে–
টেঁপি দেখতে পাচ্ছে তার বাবা নতুন সাইকেল নিয়ে আসছে,
সাইকেলের ক্রীং ক্রীং ক্রীং
তার কর্ণকুহর বিদীর্ণ করছে–
“টেঁপি মা আমি আসছি রে–
টেঁপিমা আসছি”!
মেলিয়াস,ইনকাস,স্টেপিস তিন কর্ণপেশী ঝনঝন করে ভেঙে পড়ে।
আর কোন শব্দ নেই!
স্বয়ং যমরাজ হাসতে হাসতে বলছে এই মেয়ে চল শীঘ্রই তোর সময় একদম শেষ!
যবনিকাপাত!!
টেঁপির বাবা প্রোডিউসারের মতো বলে সমাপ্ত করলাম একাংক নাটক–
এই পর্যন্ত টেঁপির জীবনের কাহিনী।।।
ওই কান পেতে শুনুন সব টেঁপির বাবাদের কান্না।
বলতে পারেন কেন কাঁদে সে বোবা কান্না!!!