কোনো এক কুঠুরিতে লণ্ঠনের নিভে আসা আঁচে
দেখা যায় একটি মেয়ে নিজের কাপড়ে গলা বেঁধে
একলাই ঝুলে আছে
ঘরের কোণেতে শুধু খচ্ খচ্ শব্দ ইঁদুরের
পোকাধরা বাসি চাল চুরি করে গর্ততে লুকোয়
মেয়েটি যে অন্তঃসত্তা—সেই সত্তাটিও ক্রমে মরে
তুমি কি লজ্জা পাও নিজের সত্তার কন্দরে?
তুমি কি সরব হও বেশ্যাবাহী শহরে বন্দরে ?
এরকম মুহুর্তে ঐ ঝুলন্ত চিত্রটির পাশে
সহসা যদি রেডিওতে বেজে ওঠে মুগ্ধমতি জাতীয় সংগীত
তাহলে বুঝতে হবে শূন্যে দু পা রেখে ঐ মেয়ে
রাষ্ট্রকে জানাচ্ছে তার পাওনা সম্মান
যেরকম বলা হয় নগ্নপদ স্কুলের শিশুদের
দুর্লভ পুণ্য আনে দূষিত নালার জলে স্নান
ইতিমধ্যে রোঁয়াওঠা বৃদ্ধ কিছু ইঁদুরের দল
স্ফীতোদর বিড়ালের সঙ্গে করে সম্ভোগ,
লালসার খেলা
এভাবেই কেটে যায় বেলা ও অবেলা, কালবেলা
মৃতা যুবতীটি ঝোলে, লন্ঠনের কাচে জমে কালো
এর চেয়ে দেশদ্রোহী নাম নিয়ে জুলে ওঠা
লক্ষগুণে ভালো
তুমি কি ক্রুদ্ধ হও নিজের সত্তার কন্দরে ?
তুমি কি যুদ্ধ চাও শহরে ও গ্রামে, বন্দরে ?