Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » নীলবসনা সুন্দরী || Panchkari Dey » Page 44

নীলবসনা সুন্দরী || Panchkari Dey

দেবেন্দ্রবিজয় দিলজানকে বলিলেন, “তোমার কথায় অনেক গুপ্তরহস্য ভেদ হইল বটে; কিন্তু তোমার ভগিনীর হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভেদে সুবিধা হইতে পারে, এমন কোন কথাই পাওয়া গেল না। তোমার কথায় বুঝিতে পারিলাম, মজিদ খাঁ সেই ছুরি সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন, মিথ্যা নহে। আর তাঁহার সহিত মনিরুদ্দীনের বাড়ীতে যে স্ত্রীলোকের দেখা হইয়াছিল, যাহার নাম তিনি এমন বিপদে পড়িয়াও অদ্যাপি প্রকাশ করেন নাই-আমরা মনে করিয়াছিলাম, তুমিই সেই স্ত্রীলোক। এখন বুঝিলাম, তোমার বেশ ধরিয়া তোমার ভগিনীই সেখানে গিয়াছিল। একমুহূর্ত্তে সকলই উল্টাইয়া-পাল্টাইয়া গেল। যাহা হউক, এখন যাহাতে যোমার ভগিনীর হত্যাকারী ধরা পড়ে, তাহা করিতে হইবে; এ পর্য্যন্ত হত্যাকারীকে ধরিবার কোন সূত্রই পাওয়া যায় নাই। তুমি কি ইহার সম্বন্ধে কিছুই জান না?”
দিল। না।
দেবেন্দ্র। তোমার ভগিনী খুন হইয়াছে, তাহা কি মল্লিক সাহেব জানিতেন? সে সম্বন্ধে তিনি তোমাকে কিছু বলিয়াছেন?
দিল। না, তিনি কিরূপে জানিতে পারিবেন?
দে। কিরূপে জানিতে পারিবেন, তা’ আমি তোমাকে কি বলিল? তিনি তোমার ভগিনীর না হউক-যে কোন একটা খুন সম্বন্ধে কিছু বলিয়াছেন কি?
দিল। না।
মুন্সী সাহেব দেবেন্দ্রবিজয়কে বলিলেন, “এখনকার কাজ ত সব মিটিয়া গেল; মেহেদী-বাগানের সেই নিহত স্ত্রীলোক যে আমারই স্ত্রী, সে সম্বন্ধে আর কোন সন্দেহ নাই। এখন কি করিবেন, স্থির করিয়াছেন?”
দেবেন্দ্রবিজয় বলিলেন, “এখন কলিকাতায় গিয়া একবার মনিরুদ্দীনের সহিত দেখা করিতে হইবে। তিনি সেদিন রাত বারটার পর হইতে কোথায় ছিলেন, কি করিয়াছিলেন-তাঁহার গতিবিধি সম্বন্ধে সমুদয় কথা জানা এখন আমাদের বিশেষ দরকার হইতেছে।”
ব্যাঘ্রীর মত সবেগে মাথা তুলিয়া দিলজান দেবেন্দ্রবিজয়ের মুখের দিকে কঠোর দৃষ্টিতে চাহিয়া বলিল, “কি ভয়ানক! আপনি কি শেষে তাঁহাকেই সন্দেহ করিলেন?”
দেবেন্দ্রবিজয় বলিলেন, “কই-সন্দেহের কোন কথা ত আমি বলি নাই। তিনি সেদিন রাত বারটার পর কোন্ কাজে কোথায় ছিলেন, কোথায় গিয়াছিলেন, তাঁহারই গতিবিধির সন্তোষজনক উত্তর আমাদিগকে দিবেন মাত্র। ইহাতে ক্ষতি কি?”
“ক্ষতি কিছুই না,” বলিয়া দিলজান সহসা উঠিয়া দাঁড়াইল। তাহার পর একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিল, “যাহা ভাল বুঝিবেন, তাহাই করিবেন। আমি যাহা কিছু জানিতাম, সমুদয় বলিয়াছি।” তৎক্ষণাৎ দিলজান পর্দ্দা তুলিয়া, সেই দ্বারপথে কক্ষের বাহির হইয়া গেল।
হরিপ্রসন্ন বাবু দেবেন্দ্রবিজয়কে জিজ্ঞাসা করিলেন, “সত্যই কি আপনি এখন অনুমান করিতেছেন, মনিরুদ্দীন সৃজানকে খুন করিয়াছে? সে সৃজানকে কেন খুন করিতে যাইবে?”
দেবেন্দ্রবিজয় বলিলেন, “তা’ সৃজানকে সে কেন খুন করিতে যাইবে? সৃজানকে খুন করিবার কোন কারণই নাই; তা’ না থকিলেও সে খুন করিতে পারে আর তাহার কারণেরও কোন অভাব নাই।”
মুন্সী সাহেব চকিত হইয়া বলিলেন, “তবে কি মনিরুদ্দীন দিলজানকে খুন করিতে গিয়া ভ্রমক্রমে আমার স্ত্রীকে খুন করিয়াছেন?”
দেবেন্দ্রবিজয় বলিলেন, “তাহাই ঠিক।”

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40 41 42 43 44 45 46 47 48 49 50 51 52 53 54 55 56 57 58 59 60 61 62 63 64 65 66

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *