গভীর হিল্লোল যৌবন বন্দরে, গহীন পিয়াসের নিদাঘ।
এক মুঠো জ্যোৎস্নার আলো নিশীথ গোপনে,
নিশিপদ্মের ‘পর হয় হওয়ার।
মধুর রাত নিকষ ঘন, ঝিল্লির দাপুটে আওয়াজ,
তারই মাঝে খদ্দের ধরার তাগিদে ছুটছে যৌবন জোয়ার।
সারমেয় ডাক ভেসে আসে সুদূর হতে ক্ষীণ,
গণিকা পল্লিতে তখন জাগে উষ্ণ প্রাণের স্পন্দন।
পরিপাটি সাজ হরিণীর ন্যায় চকিত চাহনি নয়নে,
যুবতীর দল যৌবন পসরা সাজিয়ে বিকায় দেহ অঙ্গনে।
দেহ নিপীড়ন নিরবে সহে জঠর জ্বালার কারণে।
কেউ স্বভাবে, যে কেউ অভাবে, কেউবা পাচার চক্রের ফাঁদে পড়ে আসে এখানে।
আছে সন্তান এমন পতিতা নারীর এখানেই পাতা সংসার।
দিবস শেষে আঁধার নামতেই ঝলমলে পোশাকে তাদের পসরা,
নিশিপদ্মের পাপরি মত মেলে ধরে ভ্রমরা বাজারে।
প্রতিটা রাতে ক্লিষ্ট হয়ে বহু হাতে হাতে ফেরে।
অত্যাচারিত হয় পদে পদে তবু আশা বুকের ভিতর,
খদ্দের চাই যথার্থ জিবিকা যে তাতে নির্ভর।
জীবনটা নিয়ে জুয়া খেলা চলে নিভৃতে নিকষ নিশিতে।
বড় সস্তায় বিকায় শরীর পরিবার বাঁচাতে।
সমাজের কত মলিনতা পাপ দেহে করে ধারণ,
নিষিদ্ধ পল্লীর গনিকা পরিচয়ে করে জীবন যাপনে।