এসেছিলে তুমি জীবনের খরতাপে
বিলুপ্ত-প্রায় শতাব্দী পুরাতন কোন বইয়ের ভাঁজে,
উইপোকার ঝরে যাওয়া পাখা আর ভাঙ্গা দর্পণের আড়ালে সাজানো শুকনো আধছেঁড়া ছবির স্মৃতিগুলো রেখেছি জড়িয়ে প্রদীপ জ্বেলে আলোর মিছিলে,
শিহরন তোলা ঝরাপাতার বুকে উঁকি দিয়ে যায় নীরবে
নির্বাক মনের হৃদয় জুড়ে
সেই স্নিগ্ধ হাসি নিখুঁত চরণ,
মনোবেদনা দিয়ে রাখা হৃদয়কূপে
ফুরুত ফুরুত দাপিয়ে বেড়ানো বিরহ সুরে
শর্ত জুড়ানো গোপন ব্যথাগুলো
জানিনা কিসের টানে গুটিগুটি পায়ে
পার হয়ে চলে দিগন্তহীন কত রঙিন বসন্ত,
যার ছোঁয়ায় আজও শিহরণ জাগে,
সারল্যে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাই অনন্ত,
মনে পড়ে সেই গোধূলির প্রথম পরিচয়
যেদিন নীলাম্বরী শাড়ির আঁচল উড়িয়ে
সেজেছিলাম তোমার প্রিয় নীল রঙে,
নিজেকে করেছিলাম অকৃপণ আত্মসমর্পণ
সময় আমাকে জড়িয়ে থেকেছে অবিরত
আর আমি, সময়ের গায়ে একাকার হয়ে থেকেছি বিমূর্ত।
দিনবদলের গল্পে খুঁজেছি বারে বারে
মৃত কফিনের গায়ে লেখা শৈশবের রূপকথায়।