চাল ধোয়া জলের মত পেলব জ্যোত্স্না মাখা রাত গড়িয়ে চলেছে মায়াবী ভোরের দিকে।
ঝিরঝির করে বইছে নিশি কুসুমের গন্ধে ভরা মিঠেল বাতাসটা।
দূরে নভোমন্ডলে নক্ষত্রের সারি অপেক্ষারত
নিদাঘী তামসী তপস্বিনীর একাগ্রতার মত।
নিশি কুসুমের মদির সুবাস মাতাল করে তুলেছে রাত টাকে।
রাত নিশুতি— নিদালীর মন্ত্রের চাদর জড়ানো।
দূরে– অনেক দূরে — এক ঝাঁক পরিযায়ী পাখির ডানার শন শন শব্দ রাতের বুকে আলোডন তুলল।
ধীরে ধীরে তা মিলিয়ে গেল দক্ষিণের মাঠে।
এই শব্দ ঘুমন্ত পাখির ডানায় কাঁপন তুলল ক্ষনিকের—
আবার নিস্তব্ধতা!
রাত যেন ফিসফিস করে কথা বলছে বাতাসের সাথে!
আকাশের অবাঞ্ছিত নক্ষত্রেরা উল্কা হয়ে ঝরে পডলো নিদাঘী রাতের আঁচলে।
রাত চরা পাখির ডানার কাঁপন অনুরণন তুললো ঘুমন্ত গাছগাছালি শাখা-প্রশাখায়।
এক ঝলক ঠাণ্ডা হাওয়ার লহর উঠলো।
ঠান্ডা মিঠেল হওয়াটা নিদাঘী তাপ কে তাড়িয়ে নিয়ে চলল দিগন্ত পেরিয়ে।
দূর থেকে ভেসে এলো ভোরের প্রথম মোরগের ডাক— তার দিনমনিকে আহ্বান।
নিদাঘীরাত নিজেকে সঁপে দিল মায়াবী ভোরের কোলে—-
আঁধারের ওড়না সরিয়ে উঁকি দিচ্ছে নতুন ভোর—!