নারী তোমার জীবনবৃত্ত পেন্ডুলামের দোলায় ,
অসমাপ্ত যা কিছু তারা পূর্ণতার-ই আশায় ।
নারী তোমার মায়ায় বোনা নকসী কাঁথা ,
নারী তুমি খুব দরদী তোমার মর্মগাঁথা ।
হাসি তোমার কান্না ভেজা শীতল পরিপাটি ,
প্রাণজুড়ানো বটবৃক্ষের শান্ত শীতলপাটি ।
নারী তুমি কুঝ্ঝ্বটিকা ভীষণ দাবদাহে ,
তুমিই আবার শীতের চাদর হিমেল প্রবাহে ।
নারী তুমি স্পর্শ সুখে হঠাৎ বিহনবেলায় ,
মুখ ডুবিয়ে উপচে পড়া সোহাগ আকুলতায় ।
তবুও নারী , তোমার চোখের কোণে জল?
পরের ঘরের লক্ষী হয়েও চোখ করে টলোমল !
পিঠে তোমার রক্ত জমাট , ঠোঁটের পাশে ক্ষত ,
শরীর জুড়ে নরপিশাচ , ক্ষত বাড়ছে ক্রমাগত ।
পণের দায়ে জ্বলছে নারী ভীষণ আর্তনাদে ,
সিলিং ফ্যানে ঝুলছে দেহ নীরব প্রতিবাদে ।
নারী তুমি কন্যাসন্তান দিয়েছো বারেবারে ,
তাই তুমি সন্তানহারা পাশবিকতার দরবারে ।
যে নারী পুরুষের পাশে অর্ধনারীশ্বরে ,
সেই পুরুষই সাজায় চিতা গহীন অন্ধকারে ।