দশ মাস দশদিন পর জন্মিল কন্যা শিশু যখন,
বিশ্ববাসীর কাছে দেখিতে পাইল সে জগৎ তখন।
সবার সম্মুখে নয়ন মেলিয়া দেখিল কত জন মানব,
বুঝিতে পারে নাই অন্তর দিয়া বাহিরে কত কলরব।
তাহার জন্ম লইয়া পরিবার আছে মাতিয়া আজ,
সেই শিশু দুই চক্ষু মেলিয়া পিটি পিটি দিচ্ছে সাজ।
ধীরে ধীরে তাহার নয়ন যুগল স্পষ্ট ফুটিয়া উঠিল,
তখনই তাহার জগৎ চিনিবার নতুন দিশা ঘটিল।
হাটি হাটি পা যখন তাহার বাড়ির অঙ্গনে,
দর্শন করিল কত কিছু নয়নের সংগোপনে।
বিদ্যার হাতে খড়ি টুকু দিয়েছিল ” অ” লিখিয়া,
শিক্ষার গণ্ডি আসিল এবার জীবনদ্বার শিখাইয়া।
এমনি করিয়া বছর তাহার পার হইল বারো,
এবার যেন নয়নে তাহার পড়িল কত আরো।
পাশ করতে হইবে স্কুল জীবন ডাক্তারি সে পড়িবে,
জগৎ জুড়িয়া দরিদ্র মানবের চিকিৎসার হাত ধরিবে।
অবশেষে সে শুরু করিল চক্ষুর চিকিৎসা
কত মানবের ফিরাইয়া দিল জগতের আলোর দিশা।
যাহারা ছিল অর্থ কষ্টে পারেনি বিশ্বের আলো দেখিতে,
চক্ষু বসাইয়া তাহাদের সে পেরেছিল নব জীবন ফেরাইতে।