সহজবোধ্য নাব্যতা বুকে ছোটা মোহনার টানে,
আঁকাবাঁকা পথে কভু ক্ষীণস্রোতে অজানা আকর্ষণে।
সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দেবে বলে ধরেছ যে হাতে হাত,
মিথ্যে শপথে ভরে ভরে গেল সোহাগের মজা খাত।
স্ফূরিত অধর ছিল যে আকুল চুম্বনে উদ্যত,
তীরের বাতাস মূর্ত মিলনে হয়নিকো শিহরিত।
নির্বাক চোখে চেয়ে থাকা শুধু আজ কুয়াশায় ভিড়ে,
এলোমেলো স্রোতে ভেসে চলা তরী ভিড়লো না কোন তীরে।
রাতের জোনাক, সেও নির্বাক, মিটমিট করে জ্বলে!
আকাশের তারা শোকে দিশাহারা আনমনে পথ চলে।
হিমেল রাতের ধূসর স্বপ্নে শৈত্যতাপের বোঝা!
পথ চলা কিগো স্তব্ধ হয়েছে,শেষ হলো বুঝি খোঁজা!
ভেসে গেছে যত সুখের পশরা বিসর্জনের রাতে,
অভিমান যত খুঁজে ফেরে পথ সমর্পণের সাথে।
ক্ষয়ে যাওয়া দিন ব্যর্থ-যাপনে ভরেছে দীর্ঘশ্বাসে,
উষ্ণ আকুল নয়নে চেয়েছি বিপন্ন বিশ্বাসে।
ব্যাকুল স্বপনে অমা-রাত কাঁদে অশ্রুবিহীন চোখ,
দুঃস্বপ্নের রাত্রিরা জাগে, শুধুই ছিন্ন-শোক!
মোহনার টানে জীবনের গানে সুখ খুঁজে ফেরা তাই,
বৃথা তরী বাওয়া হলো নাতো পাওয়া জীবন যদিও একটাই!