দোলনায় নয় কিংবা নয় মুখরিত খেলাঘরে,
পেয়ারা গাছের নিচে কাজল মাটিতে আছে প’ড়ে,
যেনবা পুতুল কোনো, ফেলে যাওয়া। নখভরা ধুলো,
হয়তো মাটির কাছে চেয়েছিল স্নেহকণা। হুলো
বেড়াল দেখলে অকস্মাৎ পেত ভয়, কিংবা কোনো
পেঁচার আঁধার-চেরা ডাকে কেঁদে উঠত কখনো।
অথচ এখন তার বেয়নেট-বিদ্ধ শরীরের
লোভে ঝোপ থেকে ক্ষিপ্র বেরুচ্ছে শেয়াল। খোকা টের
পাচ্ছে নাকো কিছুতেই। কে জানত এমন অনড়
হয়ে যাবে এই রাঙা চঞ্চলতা? শূন্য সারা ঘর,
সারা গ্রাম, শক্ত মৃত্তিকায় শুধু সে রয়েছে প’ড়ে।
তার তো থাকার কথা সস্নেহ কবোষ্ণ মাতৃক্রোড়ে।