সে ট্রাউজারের খোলা খোলা যমজ পকেটে হাত পুরে
চকচকে মোকাসিন পায়ে হেঁটে যাচ্ছে দিব্যি শিস
দিয়ে প্রিয় আজিজ সুপার মার্কেটের দিকে। সূর্য ঘুমে ঢলে পড়ে।
(বয়স্ক জনক সে যুবার লাঙলে জমিন চষে ঘর্মাক্ত শরীরে আর
জননী জাঙলে খোঁজে উনুন তাতানো সরঞ্জাম।)
সে যুবা নিশ্চিত শাহবাগ ভালোবেসে, এক তার
অপরূপ ঝুলন্ত উদ্যান মনে হয়, কখনও সুদূর অতীতের কোনও
ঝলমলে কাঙ্ক্ষিত সরাইখানা ঢের ভ্রমণের পর। এই
বইয়ের দোকানপাট, ফটোগ্রাফ, রেকর্ড ক্যাসেট ইত্যাদি
জনপ্রিয় পসরা সাজিয়ে বসা সব আয়োজন
যুবকের চেতনায় বস্তুত আরব্য রজনীর
রূপ-রহস্যের ঘ্রাণ নিয়ে আসে কখনও সখনও।
(যুবকের পিতা প্রতিদিন সাত-সকালে ঘুমের
বাজারে গরুর দুধ বিক্রি করে পুত্রের খরচ
চালাতে শহরে। ছেলেটির শিক্ষার আলোয় স্লাত
করবার সাধনায় নিরক্ষর জনক এবং জননীর
নিরস্তর কী প্রাণান্তকর ধীর নীরব সংগ্রাম।)
সে যুবক ল্যাম্পপোস্টে আয়েশে হেলান দিয়ে দ্যাখে
পূর্ণিমা চাঁদকে দ্রুত চেটে-পুটে খাচ্ছে অতিকায়
বুভুক্ষু বেবুন। যুবা যায় কবিদের উতরোল
আড্ডায় এবং দিশি মদের বস্তিতে
ক্রমশ নরক গুলজার। রাত গাঢ় হলে যুবা
নির্বিঘ্ন পল্লীতে গিয়ে বেছে নেবে যে-কোনও রঙিন তরুণীকে।
(তখন গেরামে তার শ্রমশ্রান্ত জনক জননী সন্তানের
ব্যয়বহনের ভাবময় নিষ্প্রদীপ ঘরে ঘুমে ঢলে পড়ে।)