যুগ যুগ ধরে দৃষ্ট সতত বিভেদ পৃথিবী ‘পরে,
কেউবা থাকে অট্টালিকাতে কেউ বস্তির ঘরে।
বিলাস ব্যসনে কাটায় কেউবা, কেউ থাকে অনাহারে,
পলিথিনের বা টিনের ছাউনি ঘরে ঘিঞ্জি আঁধারে।
মাথার ঘামটি ঝরিয়ে পায়েতে দীনান্তে কিছু আয়,
পরিবার সুখ দূরস্ত শুধু ফেনা ভাত দুটি খায়।
বিত্তবানের রঙিন স্বপ্ন কতনা বাহার তায়,
বস্তিবাসীর সুখ স্বপ্ন যে মরিচীকা সম হায়।
দুঃখে যাদের জীবনটা গড়া ভাগ্যে নিঠুর খেলা,
জীবন তাদের প্রহেলিকাময় বৈষম্যতা মেলা।
সদা ধুঁকে মরে ক্লেদ ও দূষণে জরাগ্ৰস্ত দেহ,
অট্টালিকার মানুষ এসব দেখেও দেখেনা কেহ।
পেটের লড়াই বাঁচার লড়াই এটাই তাদের কাজ,
বসুন্ধরার বৈষম্যতা চিরকাল
করে রাজ।
মুখোশের আঁড়ে মানবতা আজ শুধু স্বার্থের ঘটা,
গরিবের খিদে শাসকের কাছে দয়া ভিক্ষার ছটা।
কুড়ে ঘরে শুধু ক্ষুধার অনল অভাবের নেই শেষ
প্রাচুর্য মাঝে হারিয়ে যাওয়া দীনের সদাই ক্লেশ।