দহনের দিনগুলো ইতিহাস হয়ে গেছে কবে
মুক্তির মন্দির সোপান তলের গান সমাপন হলো,
বহু লোক সুর ভুলে গেছে,
রক্তের ঋণ আর শহীদের নাম,
তারই মাঝে উজ্জ্বল ভাসে নেতাজী সুভাষ বোস নাম।
বিচার করার কেউ নেই, খোঁজ তাকে করলো না কেউ,
বাড়ির পোষ্য হারালে তার খোঁজে পড়ে হৈচৈ।
সত্য প্রকাশ হয়ে যাবে
মুখে তাই মুখোশ আঁটা
ফাইল বন্ধ করে রাখে তাই সব ধামাচাপা দেওয়া।
পরাধীন ছিলো যে সময় ব্রিটিশ প্রভুর পা চাটা
নেতাজী সুভাষ বোস এলে পড়বে ফাঁপরে বড়ো নেতা।
বন্দেমাতরম ধ্বনি বাজে নেতাজীর বুকে সেই গান,
নেতাজী বাহিনী গড়ে তোলে আজাদ হিন্দ ফৌজ তার নাম।
সদর্পে মুখোমুখি হয় ব্রিটিশের, জাপানিরা বোমাও ফেলে
মুক্তির লড়াই চলে, ইংরেজ প্রভু ভয় পায়।
নেতাজী ডাক দিয়ে বলে, রক্ত দাও স্বাধীনতা দেবো,
প্রতিবাদে দিল্লি চলো, ইংরেজ উৎখাত হবে।
শহীদের আত্মত্যাগ জেল ভরে যায় মেরে ফেলে
বীর সৈনিক নেতাজী ছুটে চলে দেশ বিদেশে,
একমুঠো সাহায্যের আশ, দেশ থেকে তাড়াবে ব্রিটিশে ।
অনেকেই সাহায্য করে, অস্ত্র আর অর্থ দেবে বলে
অন্তর্ধান রহস্য অপার, সমাধান হয়নিকো আজও।
মৃত্যু রটানো হয়েছিল, প্রমাণ তো মেলেনি কোথাও
যারা পোষ্যকে খুঁজে যাও দয়া করে নেতাজী খোঁজো।
মৃত্যু তো মানুষেরই হয় দেবতারা মরে না কখনো
নেতাজীও দেবতাই জেনো তার শুধু জন্মদিন হয়।
আজাদ হিন্দ বাহিনীর নেতা, সুসন্তান দেশ মাতৃকার
তোমাকে স্মরণ করি আজ জন্মের সেই শুভদিন
অনেকেই ভুলে যেতে চায় দেশমাতা ডাকে চিরদিন।।