মারাঠি ব্রাহ্মণেরা আপনার তিনশো কবিতা পাথর বেঁধে নদীর জলে
ফেলে দিয়ে বলেছিল, ‘শূদ্র, শূদ্রের মতন থাক্
কবিতা লেখার এতই যখন শখ ব্রাহ্মণ হয়ে জন্মালেই পারতিস’।
কিন্তু সারা মহারাষ্ট্রের মানুষ বিশ্বাস করে
আপনার তিনশো কবিতা
এক বছর বাদে জল থেকে উঠে এসেছিল।
একটি ব্রাহ্মণকন্যা একবার স্বপ্নে দেখেছিল আপনাকে
বিছানায় উঠে বসে সে তার স্বামীকে জড়িয়ে ধরে বলে ফেললো
‘জানো কে এসেছিল স্বপ্নে, তুকারাম’
সেই রাতে স্বামী নতুন বৌকে বেদম পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়
মেয়েটি কি পেরেছিল আপনার গ্রামে পৌঁছতে?
এই মেয়েটিই মারাঠি ভাষার প্রথম মহিলা কবি।
তুকারাম, আপনার কবিতা জল থেকে উঠে এসেছিল কিনা জানি না
তবে মেয়েটি স্বামীর হাতে মার খেয়ে বাড়ি ছেড়েছিল
সে চোখ বন্ধ করে মুখস্থ বলতো আপনার তিনশো কবিতা।
৩৮ বছর বয়সে, তুকারাম, আপনাকে হত্যা করা হলো
কিন্তু ব্রাহ্মণেরা একটা ছোট্ট সত্য বুঝতে পারেনি সেদিন
কবিতার পাণ্ডুলিপি জলে ফেলে দিলেই, কবিতা ডুবে যায় না।