সকালসন্ধ্যা বালক ঘুড়ির প্রতি ছুটে যায়, প্রায় উড়ে যায়,
কখনো দীর্ঘ সুতো ছেড়ে দিয়ে লাল নীল ঘুড়ি নিজেই ওড়ায়।
কখনো নিহত ঘুড়ির পেছনে দ্রুত ধাবমান কখনো বা শুধু
অপলক ধুধু
আকাশের দিকে চেয়ে থাকে কিছু রঙের ঈষৎ কম্পন হেতু।
হয়তো আকাশে দ্যাখে সরোবর, ফুলময় সেতু,
হারানো বোনের পরবের ফ্রক। বিস্মিত দেখি
শাদা চোখে একি
বালকের চোখ নাক কান মুখ ঘন চুল থেকে বেরোয়া কেবলি
সাতটি রঙের ঘুড়ি অবিরত-চমকিত ছাদ, বিকেলের গলি-
বংশাবলির স্মৃতির ভিতরকার স্মৃতিগুলি যেন ভাসমান।
রাত্রে ক্লান্ত বালক ঘুমোলে বেবাক রঙিন ঘুড়ি পাখি হয়,
ছায়া দেয় তাকে, স্নেহের মতন ঘোরে ঘরময়।
আচানক ওরা ভীষণ ঝাঁঝালো মেশিনগানের শব্দে পাগল;
ঘরের চালায়,
মেঝেতে, কাঁথায় প’ড়ে থাকে কিছু অধরা পালক।
ঘুমের ভিতর চম্কে উঠেও ঘুড়ির স্বপ্ন দ্যাখে সে বালক।