মনের ভেতর মনটা কেমন দহন তাপে ডুকড়ে মরে
গহিন তলে হারিয়ে যায় স্মৃতির দোরে মাথা খুঁড়ে,
জীর্ণ পাতার মর্মরেতে দীর্ঘশ্বাসটা যেমন ঝরে
হৃদকন্দরের গোপন ভাঁজে স্মৃতির চোখে অশ্রু ভরে।
কল্পনার ওই রঙ মাখানো স্বপ্ন সাধের ছবি যত,
মনখানাকে বিবশ করে ব্যাকুলতায় ভরছে তত,
জীবন ধারার স্বরলিপি সময়ের ওই খামে রেখে
চুপিচুপি চলে যাওয়া বিদায়বেলার বিষাদ মেখে।
ঝরাপাতা পড়ছে ঝরে সময় হাওয়ার দোলা লেগে
শাখে শাখে অঙ্কুরিত কচি পাতা উঠছে জেগে,
জীবনের যে কাছে জীবন রেখে যায় তার কত দেনা
চাওয়া পাওয়ার হিসেব কষতে খতিয়ানে মন বসেনা।
যা ছিলো গো একান্ত মোর হারালো তা সময়স্রোতে
স্বপ্ন সাধের পাঁপড়ি ঝরে মন কাঁদে তাই বেদনাতে,
শেষের কথা ভাবতে বসে দেখতে পেলাম হয়নিতো শেষ
ঋণ শোধটা তো করতেই হবে রইলো বাকি কিছুটা রেশ।
ব্যথার ঢেউ যে উতল করে মন গহিনে ডুবি ভাসি,
স্মৃতির মুক্তো আছে রাখা ভালোবাসায় মাখা রাশি,
স্তবক স্তবক সাজানো ওই জীবনধারার কথারা সব
অবসরের জানলা খুলে বিষন্নতায় ধরছে রে রব।
আমিও আজ ঝরাপাতা সময় এলেই পড়বো ঝরে
তবুও মন অবুঝ বড়ো কবিতাকেই আঁকড়ে ধরে,
শব্দ নিয়ে রূপে ভরে সালঙ্কারা কবিতা তাই
শান্তির পরশ অনুভবে মনটা শুধু জুড়াতে চাই।
ঝরাপাতা! শোন্ রে সখি,জীবন বেলার এই কাহিনী
সবাই যাবে কেউ রবে না এই সত্যটা নিস রে মানি,
তাইতো,আমার কানে কানে শব্দ বলে গুনগুনিয়ে
রয়েছি রে হৃদয় মাঝে,থাকনা শুধু কাব্য নিয়ে।
ঝরাপাতার কান্না ধ্বনি শোনা যায় তার মর্মরেতে
কেউ বুঝে কেউ বুঝে নাকো আপনি মত্ত এই জগতে,
ভাবসাগরে পানকৌড়ি মন যখন তখন ডুবে ভাসে
দীর্ঘশ্বাস নয় ভরেছি আশ লিখে যাবো রাশে রাশে।