একদিন শাপলা ভরা পুকুরের জলে সাঁতার কাটতো হাঁস…
সবুজ ঝোপ জঙ্গলের বুক ফুঁড়ে মাথা তুলতো বুনোফুলের দল…
সন্ধ্যায় বাঁশের বনের আড়াল থেকে হেসে উঠতো চাঁদ-
মুঠো মুঠো জোনাকির আলো মুছিয়ে দিতো অন্ধকার-
তারপর শুকিয়ে গেল জল!
শুকনো দড়ির মতো শাপলারা মিশে গেল মাটিতে!
হাঁসগুলো বলি গেল শিকারীদের ধারালো ছোরায়।
ঝোপ জঙ্গল সব সাফ হয়ে গেল…!
হারিয়ে গেল বাঁশের বন…!
বুনোফুলগুলো দলা পাকিয়ে গেল সময়ের কোদালে-
জোনাকিরা সব নিখোঁজ হল রাতের চোখ ঝলসানো আলোতে।
চাঁদের দরবারে এখন চাঁদ একা ।
স্মৃতি ধুলো বালি আঁকড়ে সে রোজ ভাঙে…
ভাঙতে ভাঙতে আবার জুড়ে যায়!
অনিঃশেষ আকাশ মরুর সাম্রাজ্যে সে যেন একাকী যক্ষ।
সময় বয়ে যায় –
সভ্য সমাজের যুপকাষ্ঠে বারবার বলি যায় আদিম সৌন্দর্য!
ভাঙাগড়ার সাক্ষী হয়ে বেঁচে থাকে কেবল এক জোড়াতালির চাঁদ…।