কাল মাঝরাতে শুকতারা এসে বলেছিল সংগোপনে,
জিনিয়া আসছে ফিরে।
তার সব নীরবতা ভেঙে দিয়ে।
ভোরের পাখিরা তাই ভোরের আগেই ভৈরবী সুর গেয়েছিলো বাতাসে,
স্তব্ধ নদীও কুলকুল করে বয়েছিলো সেই প্রভাতে।
সমস্ত পাথর ফেটে রক্ত বেরিয়েছে,
এতদিন পরে থাকা পাথর গুলো রজঃস্বলা হয়েছে।
জিনিয়া ফিরলেই পাথরের বুকেও
গোলাপের চারা ফুটবে।
পাহাড়ে পাহাড়ে একটাই শুধু গুঞ্জন।
হৃদয়ে লুকোনো সব ঝোড়ারা গানে গানে মুখরিত হয়ে
ঝর্ণার সাথে মিশে যাবে।
চৌরাসিয়া এখন থাকেন পৃথিবী ছেড়ে অন্য গ্রহে
উনি এসেছেন আমার কুটিরে প্রাঙ্গণে।
কাল সারাদিন নাকি পৃথিবী মাতিয়ে রাখতে হবে,
বাঁশির সুরে।
জিনিয়া আসবে বলে।
জিনিয়া ফিরলেই জিনিয়ার দ্বীপে
সমস্ত নিরন্ন মানুষের ঘরে,
এক থাবা ভাত দিয়ে
তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
রাত জেগে গাছেরা লিখবে জীবনের সেরা কাব্য,
কোনো কবি সে কাব্য পাবেনা ।
সাপেরা এসে তুলে দেবে সেই কাব্য ও কথা জিনিয়ার হাতে।
এক রাতে বই পড়ে পাশ করে যাবে রাকিবুদ্দিন,
সাড়া বাংলা জুড়ে আসবে এমন উজ্জ্বল সুদিন।
দিগন্ত প্রসারিত খোলা মাঠে গিয়ে দেখো,
খবর হয়েছে এখন নীরবতা ভেঙে কলরবে শব্দকে ভরিয়ে দিয়েছে জিনিয়ার কলম।
সব ক্ষততেই এখন ধরিত্রী দিয়েছে মলম।
জিনিয়া ফিরছে, তাই
বনে বনান্তরে ধরণীর প্রান্তরে প্রান্তরে
শুধু নাচ,গান, আর অপেরা হবে।