স্বজনের বিদগ্ধ দেহ নির্বিকার দু-পায়ে মাড়িয়ে
পলেস্তারা খসে পড়া দেওয়াল আঁকড়ে বেড়ে ওঠা
অশ্বত্থের পায়ের কাছে এসে পড়ছে মরা পাতাগুলো,,,
যেনো মহাকালের স্রোত বেয়ে
মরচে ধরা আলপিনের মত লক্ষাধিক শান্তি
ক্যাঁচ-ক্যাঁচ শব্দে ঝরে পড়ছে
শুকিয়ে আসা গোলাপ – গন্ধরাজ – অপরাজিতার ডালে।
যেথায় কয়েক শতাব্দী আগেও গন্ধমাখা রোদ
খেলা করত একটুকরো সাদা মেঘের পালক উড়িয়ে,
যেথায়, দুরন্ত বাতাসের দস্যিপনায়
জেগে উঠত বসন্তের কোকিল, আর আরমোড়া ভেঙে
অনুভূতির সারেঙ্গীতে তুলতো বিরহের সুর।
আজ সেখানে বিরাজ করছে চরম নীরবতা,
মর্গের মতন কাটা-ছেঁড়া হয় পরিচিত বৃক্ষ জুড়ে,
আজ সেথায় অনাহারি শেয়ালের ডাক শুনে
একমুঠো কালশিটে ক্ষত নেশার মত জেগে ওঠে শিরায়,,,।
যেন অজস্র আগাছার আবরণ বিদীর্ণ করে
তেড়েফুঁড়ে উঠে দাঁড়াতে চায় এক স্বর্ণালী সায়াহ্ন
কিম্বা চিরহরিৎ বৃক্ষ বনস্পতির দেয়াল
কোনো এক অপেক্ষারত মহাকালের উদ্যানে।