গোধূলির মেঘ সুদূর আকাশ ছায়
নীল শূন্যতা লাল রঙা মেঘে ভরে
কোন অভিমানে দিশেহারা হলে পরে
আস্ত নদীটা মুনি একা গিলে খায়।
এক সুরধুনী জল শুষে খায় মুনি
জহ্নু নামেতে আমরা সে মুনিকে চিনি,
ভগীরথের তো হাড় নেই বলে জানি
অভিমানী তপে সে নিয়ে এসেছে গঙ্গা সুরধুনী।
শঙ্খ বাজিয়ে ভগীরথ চলে গঙ্গাও চলে পিছে
শিব জটা হতে মুক্ত গঙ্গা সব কিছু ভাসায়
জলকল্লোলে জহ্নু মুনির আশ্রম তলিয়ে যায়,
প্রচন্ড ক্রোধে অভিমানে মুনি নদীকেই শুষে খায়।
কপিলমুনির আশ্রমে যেতে চায়
সগর রাজার ভস্মীভূত ছেলেরা অপেক্ষায়
গঙ্গা স্পর্শে অভিশাপ থেকে মুক্তি মিলবে আজ ,
গঙ্গা হারিয়ে ভগীরথের মাথায় পড়লো বাজ।
বহু অনুনয়ে মুনি প্রশান্ত হয়
গঙ্গার জলে পৃথিবী মুক্তি পাবে
গঙ্গা এখন কপিল আশ্রমে যাবে
ভগীরথ তাকে সে পথ দেখিয়ে দেয়।
গঙ্গা মুক্ত মুনি জানু হতে পরে
জাহ্নবী নামে তাই পরিচিত হয় ।
আজও সে গঙ্গা কুলু কুলু বয়ে যায়
সাগর সঙ্গমে কপিলাশ্রমে তীর্থ রচিত হয়।।