জানি, আমার কবিতা লাগে না ভাল ,
প্রেমনেই, সোহাগহীন,আছে অন্ধকারের কালো।
রক্তালেখ্য ,সুরহীন বীনায় সব ছেঁড়া তার-
আমি যে দেখেছি দারিদ্রতার তীব্র হাহাকার ।
প্রেমের কবিতা লিখো বন্ধু তোমরা , অটুট যাদের হাসি-
হিসাব মেলেনা আমার স্বরাজীরা কেন নিলো ফাঁসি?
আত্মত্যাগের দর্শন ঘেঁটে শুধুই দেখি রক্তচিহ্ন –
তাইতো আমার কবিতার ভাষারা রুক্ষতায় আকীর্ণ।
মেঠোপথে মিছিলের ছাপ, লাঙ্গলে হাতের চিহ্ন,
সেই রাঙ্গামাটির সাজানো বাগান লোভ-লালসায় নিশ্চিহ্ন।
কত মায়ের মধুর হাসি বাজারে হয়েছে নিলাম-
আমার প্রতিবাদ সবার কন্ঠে বাজবেই কথা দিলাম ।
কত বিভীষিকাময় দীর্ঘ রাত –
কাটিয়েছি কণ্টকময় বিছানায় ,
কত বেইমানি,কত অন্তরঘাত-
সয়েছি ব্যথাভরা এ বুকের আঙ্গিনায় ।
জীবনখাতার প্রতিটি পাতায় লিখেছি রক্তলেখা,
খুলে দেখো বন্ধু, শুধু শোষণ,তোষণের সুস্পষ্ট রেখা।
সুনামি শুধু সমুদ্রে নয় , জীবনের স্রোতেও ওঠে –
অধিকারের মহামিছিলে মৃত্যুর ছবি ফোটে ।
রক্তের হোলিতে কত তাজা প্রান,গেছে অকালে ,
পশুমানবের অসীম ক্ষুধায় ধরণী যায় রসাতলে ।
কাম পিপাসু ধর্ষক ছোটে,দৃষ্টিতে
হিংস্রতা-
অসহায় নারীর দেহ ছিড়ছে রাতে
কি নির্মম,নিষ্ঠুরতা।
দলাদলির ভাইরাস ছড়িয়েছে আকাশে-
লোভের বিষে মৃত্যু হাসে বিষাক্ত বাতাসে।
ভাগাভাগি চলছে নিরালায়,বিদীর্ণ করে –
শপথ।মিথ্যার স্তুতির শব্দদূষণ বিশ্বাসের অন্দরে।
মাঠে,ঘাটে কান্না ছোটে , সুখ যে বহু দূর ,
বুকশুন্য , ঘরশুন্য , ‘চোখে লোনা সমুদ্রু’র।
ঘর জ্বলছে,দেশ জ্বলছে,জ্বলছে মায়ের বুক ,
আয়না দামাল দস্যি ছেলে,আওয়াজ তোল প্রতিবাদের মুখ ।