বিগলিত করুণার , তরলিত রূপ ,
হে বিধাতঃ ! সৃষ্টি তুমি ,করিয়াছ বলে।
এই মহা ধরণীর , জীবকুল যত ,
বেঁচে আছে প্রাণ লয়ে , প্রতি পলে পলে।
যদি না থাকিত এই , করুণার বিন্দু ,
বিরাজ করিত ধরা , মরুভূমি রূপে ।
তৃণ গুল্ম লতা বৃক্ষ , আর মহাসিন্ধু ,
ধরণীর ‘ পরে সব , থাকিত নিশ্চুপে।
তোমার করুণা প্রভু , বারিরূপ ধরে ,
পাতালপুরীতে আছে ,লুকায়ে সতত।
কভু বা করুণা রাশি , অম্বর ভেদিয়া ,
ঝরে পড়ে মর্ত্যভূমে , হয় না বিরত।
করুণার বারিধারা , কুলু কুলু ধারে ,
নদীরূপ ধরে ধায় , মহা সিন্ধুপানে।
কিনারে গড়িয়া ওঠে , নগর বন্দর ,
মানবের মহাসুখ , সদা বয়ে আনে।
ধরিত্রীর বুকে যত , বৃক্ষ লতা পাতা ,
ফুল ফল শস্য ভার ,শ্যামল বনানী ।
এসবের সৃষ্টি মূলে ,তব বারিধারা ,
বাঁচায়েছে সকলেরে , সব কিছু দানি।
রূপে রঙে ভরে আছে , ধরণীর শোভা ,
সাধিত হয়েছে যাহা , বিন্দু বিন্দু নীরে।
এই নীর পানে সবে , মিটায় পিপাসা ,
সম্পদ বৈভব সব ,এই নীর ঘিরে ।