জন্মভূমি মাতৃভূমি (Janmabhumi Matribhumi) : 10
আজ একটা বিশ্রী খবর পেলাম। সকাল সকাল বাড়ি ফিরেছিলাম। জবা চিঠিটা দিয়ে গেল। নিউ ইয়র্কের ছাপমারা চিঠি। দেখলেই মন হু হু করে, চলে যাই সেন্ট্রাল পার্ক, ব্রডওয়ে। গ্যালভেস্টন সমুদ্রতীরে পারিবারিক পিকনিক। ফরেস্ট হিলস্-এ-টেনিস দেখতে যাওয়া। জ্যোতির হাতের লেখা। লিখেছে:
প্রিয় সুদীপদা-কুমু,
আমার জীবনে এই ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে আমি কল্পনাও করতে পারি নি। দীপালি আর নেই। মানহাটান থেকে জার্সি সিটিতে ফিরছিল একগাদা বাজার সেরে। লিঙ্কন টানেল দিয়ে। ও একাই ছিল গাড়িতে। গাড়ির মধ্যেই সেরিব্র্যাল অ্যাটাক হয়। ন্যাচারালি আরও দু চারখানা গাড়ি হুড়মুড় করে পড়ে। অ্যাকসিডেন্টে একটা হাত চলে গিয়েছিল, স্ট্রোকে আরেকটা। পাঁচ ঘণ্টা অজ্ঞান অবস্থায় যুঝেছিল। ইদানিং বড্ড মোটা হয়ে গিয়েছিল। প্রত্যেক বছরই তো নিজে সব চেক-আপ করতুম। তোমরা থাকতে তোমাদেরও করেছি। ওর প্রেশারটা বড্ড ফ্লাকচুয়েট করত। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে এতোটুকু সাবধান হত। আমি বোধহয়, যতটা জোর করা উচিত, করিনি। সংসারের যাবতীয় ঝামেলা সবই তো ওর। ও-ই বাড়িতে সভারেন। কখন কি খাচ্ছে না খাচ্ছে আমি অতটা খেয়াল রাখিনি। এটাই ওর প্রথম স্ট্রোক। তানি গ্র্যাজুয়েট হয়ে গেছে, বুলেট-অ্যাটমের জন্য ওকে বাড়িতে এসে বসতে হয়েছে। ওরা স্বাবলম্বী হলে, তবে ছুটি দিতে পারবো তানিকে। এখন ওকে ছাড়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ছেলে দুটো অবশ্য খুব শান্ত হয়ে গেছে। তানি আমাকে বাচ্চা ছেলের মতো কনট্রোল করছে। যেসব সাবধানতা দীপালির অবলম্বন করা উচিত ছিল, সেগুলো আমার ওপর দিয়ে চালাচ্ছে। বেচারা! শুভময়ের স্ত্রী অফার দিয়েছিল ওদের দেশে নিয়ে যাবে। আমাকেও ফিরে যেতে পরামর্শ দিচ্ছে সবাই। ভেবে দেখলুম সেটা আর সম্ভব নয়। তিন ছেলে মেয়ে শিক্ষার তিন পর্যায়ে আছে, সব্বাইকে উপড়ে নিয়ে যাওয়া খুব শক্ত কাজ হবে। ছেলে দুটোর স্কুলিং হয়ে গেলেই তানির ছুটি। বিয়ে করুক, চাকরি করুক, কোনও কোর্স নিক। যা ইচ্ছে। ওখানে গিয়ে মানাতে পারবে বলে মনে হয় না। তারপর এই সাত ঘরের প্রাসাদে আমি একা। এই একাকিত্ব তো আমরা প্রত্যেকে অনেক কষ্ট করে উপার্জন করলুম, তাই না? সুদীপদা, তোমার খবর বলো। আশা করি সাবধানে আছো। তোমার ট্রাবলটা ঘুমিয়ে আছে। আমাকে লিখতে দ্বিধা করো না। টেনশন ফ্রি থাকবার চেষ্টা করো। ডক্টর রায়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগটা রেখে যাও।”
চিঠিটা পড়ে চুপ করে বারান্দায় বসে রইলাম। এখনও সুদীপ আসেনি। মণি কলেজ থেকে যাবে ফরাসী ক্লাসে। ফিরতে সাড়ে সাতটা তো হবেই। কাজের মেয়েটির নাম জবা। খুবই ভালো, বুদ্ধিমতী। আমাকে চুপ করে বসে থাকতে দেখে এক কাপ কফি দিয়ে গেল। পায়ের কাছে বসে আস্তে জিজ্ঞেস করল – ‘কিছু খারাপ খবর আছে, না মা?’ আমি শুধু ঘাড় নাড়লাম।
বাবা দু বছর দিল্লিতে পোস্টেড ছিলেন। সেই সময়ে নেহাত ভাগ্যচক্রে দীপালির সঙ্গে আলাপ। আমি আর ও একই গাড়িতে লিফ্ট্ নিয়েছিলাম। দুজন অল্পবয়সী মেয়ে একত্র হলে যা হয়, বক বক বক। দু বছর পর কলকাতায় ফিরে এসেছি, একদিন নিউ মার্কেটে দীপালির সঙ্গে দেখা। ওর বাবা রিটায়ার করে নিউ আলিপুরে নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। এয়ার-ফোর্সে খুব বড় পোস্টে ছিলেন ওর বাবা। নিউ আলিপুরে ওদের বাড়িটা ছিল আমার একটা স্থায়ী আড্ডাখানা। ও আমার গান শুনতে ভালোবাসত, আর ওর সরস ব্যক্তিত্ব আকর্ষণ করত আমাকে। জ্যোতির সঙ্গে ওর বিয়েটা বলতে গেলে আমিই ঘটাই। যতদিন বিদেশে ছিলাম জ্যোতি দীপালি ছিল আমাদের সবচেয়ে অকৃত্রিম। সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সত্যি কথা বলতে কি আমি এখানে এসে নিউ ইয়র্ক আর ততটা মিস করি না, যতটা করি ওদের। মাঝে মাঝেই ওদের লিখেছি ‘তোমরাও চলে এসো না, দারুণ মজা হয় তাহলে।’ দীপালিরও ইচ্ছে ছিল। কিন্তু জ্যোতি জানিয়ে ছিল ডাক্তারের প্র্যাকটিস চট করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় তুলে নিয়ে যাওয়া যায় না।
বেল বাজল। সুদীপ খুব সম্ভব। আমি মুখ ফেরাইনি। জবা কিছু বলে থাকবে। আমার কোলে পড়ে থাকা চিঠিটা ও তুলে নিল। চোখের জলে আমার সব ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। সুদীপ বলল ‘ইস্স্ দীপালি একি করল?’ ও বসে পড়েছে একেবারে, মাথায় হাত, কফি জুড়িয়ে যাচ্ছে। রাস্তার দিকে বিহ্বলের মতো চেয়ে আছি। হঠাৎ মনে হল কুয়াশায় সাঁতার কাটতে কাটতে একটা চেনা মুখ একটা প্রিয় ভঙ্গি যেন ভেসে আসছে। চোখ মুছে ঝুকে পড়লাম।
—‘ও কি ও যে বাবু।’
সুদীপ বলল —‘কই?’ ও ঝুঁকে পড়েছে। বাবু আমাদের দেখতে পেয়েছে, হাত নাড়ছে।
দরজাটা হাট করে খুলে দিয়েছি। জবাকে বললুম, ‘একটু চীজ স্যান্ডউইচ আর কালো কফি করো, তোমার দাদা আসছে।’ সিঁড়িগুলো লাফাতে লাফাতে উঠে আসছে বাবু। তবু কতদূর! দোতলা, তিনতলা, চারতলা, পাঁচতলা এখনও ওরা লিফ্ট্টা করে দিল না। সরকারি কানুনকে কলা দেখিয়ে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে। সিঁড়ির মুখে বাবু। সেই আদি অকৃত্রিম ব্লু জীনস্, একটা সাদা ভেস্ট, কলারে হাতায় সরু লাল-নীল ডোরা কাটা। মাস্লগুলো ফুলে আছে ভেস্টের হাতের তলায়। ওর হাতে সুটকেসটা যেন একটা খেলনার বাক্স। মুখে এখনও দাড়ি গোঁফের জঙ্গল। তবে ছেঁটেছে। মাথার চুলগুলো ফুলে রয়েছে। ওই রকম সিংহের কেশরের মতো চুল হলে তাকে পরিপাটি রাখা মুশকিল। আমি অর্ধেক ছুটে গেলাম। বাবুর বুকে মাথা রেখে কাঁদছি। ছেলে বড় হয়ে যাওয়ার কি সুখ! অনেক অনেকদিন এই মুহূর্তটার অপেক্ষায় ছিলাম যেন। সুদীপ বলছে—‘আচ্ছা ইয়ে হয়েছিস তো তুই? খবর-টবর কিচ্ছু না দিয়ে···’
বাবু বলল – ভয়ে খবর দিইনি বাবা। তুমি যেরকম একটার পর একটা অর্ডার দিয়ে যাচ্ছো! শেষকালে বলবে পোস্ট ডক্টর্যালটাও নিয়ে নে। এদিকে আমি তোমাদের না দেখে·····মণি কই?’
আমার একচোখে জল। একচোখে হাসি। বাবু বলল—‘ভেরি স্যাড মা। আমি জ্যোতিকাকুর সঙ্গে দেখা করেই আসছি। বলেছি ছেলের দরকার হলে আমি আছি। ঠিক বলেছি বাবা?’
—‘নিশ্চয়! ভেতরে আয়।”
—‘ফ্ল্যাটটা তো দারুণ! বাবু ঢুকেই বলল —‘নাঃ আমাদের গৃহভাগ্যটা ভালোই। বউবাজারের বাড়ির ঘরটাও বোধহয় পুব দক্ষিণ খোলা, ষোলো বাই যোলো ছিল, নামা?’
জবা চীজ স্যান্ডউইচের প্লেট আর কফি ট্রেতে নিয়ে লাজুক মুখে দাঁড়িয়ে। বাবু হাত টাত না ধুয়েই একটা স্যান্ডউইচ তুলে নিয়ে কামড় দিয়ে বলল—‘তুমি করেছ? জবা তোমার নাম, না? ওয়ান্ডারফুল হয়েছে ভাই। মণি কোথায়? মণি?’
মাঝরাত্তিরে কমলিকার ঘুম ভেঙে গেল। ঘটনার বাহুল্যে কি যেন একটা ভুল হয়ে গেছে। বেডসাইড টেবিলে চাপা দেওয়া ছিল জ্যোতির চিঠিটা। ল্যাম্পটা জ্বেলে দিয়ে আবার পড়লেন। কী লিখেছে এটা জ্যোতি? ‘তোমার ট্রাবলটা ঘুমিয়ে আছে।’ আস্তে সুদীপকে ঠেলা দিলেন কমলিকা। ‘শুনছো! শুনছো!’ অনেকক্ষণ পর একটু চোখ মেললেন সুদীপ।
—‘কী হল? কী ব্যাপার?’
—তোমার কী হয়েছে?’
—‘আমার? কী হবে আমার দিব্যি ঘুমোচ্ছিলুম। দিলে তো ঘুমটা ভেঙে।’
—‘জ্যোতি তোমার কি ট্রাব্ল্-এর কথা লিখেছে? কী হয়েছে তোমার? আমায় কিছু বলোনি তো’!’
—‘এই জন্যে তুমি আমায় মাঝ রাত্তিরে···নাঃ···কবে একটা ব্রীদিং ট্রাব্ল মতো হয়েছিল। সে তো জ্যোতি তখনই সারিয়ে দিয়েছে····।’
—‘সারিয়ে দিয়েছে, খুব ভালো কথা। কিন্তু আমায় বলোনি কেন?
—‘বলার মতো কিছু হলে নিশ্চয় বলতুম।’ সুদীপ কাছে সরে এলেন।
—কমলিকা হাতটাকে সরিয়ে দিয়ে বললেন —‘তোমার বয়সটা বাড়ছে, খেয়াল রেখো। ডেস্ক ওয়ার্ক করে বেশ ভুঁড়ি বাগিয়েছ, জুলপি একদম পেকে গেছে। আমাকে কথাটা বলতে তোমার কী হয়েছিল? আমি চিরকাল মুখ বুজে তোমার সব কথা শুনে যাবো আর তুমি··।’
—‘বাবাকে একবারও এখানে এসে থাকতে বলেছিলে, কমলিকা?’
—‘সে আবার কি? উনি কি বলেছেন আমি বলিনি?’
—‘তা বলেননি। কিন্তু কেন একবারও এখানে এসে থাকতে চাইলেন না, বুঝলুম না।
—‘তেমনভাবে হয়ত বলিনি। আসলে আমার খেয়াল হয়নি। সর্বদা এতো রকমের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। ঠিক আছে, বলব এবার। এ নিয়ে এতো নাটক করবার দরকার কি ছিল?’
এ ঘরে ভোর পাঁচটাতেই রোদ ঢুকে পড়ে। সুদীপ ঘুমোচ্ছেন। কমলিকার সেই থেকেই ঘুম আসে না। শ্বশুরমশাই খুবই ভালো মানুষ। কিন্তু কতকগুলো বদভ্যাস আছে। প্রচণ্ড স্মোক করেন। আর স্মোকারদের অনেকেরই যা হয়। ভীষণ কাশি। বুড়ো বয়স বলেই হয়ত কাশিটা বেশি। যখন তখন থুতু ফেলেন। বউবাজারের বাড়িতে একটা দশাসই পেতলের পিকদান আছে। তাতেই ফেলেন। সেটা হাতের কাছে না থাকলে জানলা দিয়ে, বারান্দা দিয়ে। এ দেশে যেমন একই সঙ্গে সপ্তদশ শতাব্দী আর বিংশ শতাব্দী অবস্থান করে, তেমন শিক্ষা সংস্কৃতি মহানুভবতা সহাবস্থান করে সামান্যতম নাগরিকত্ববোধের অভাব, সংকীর্ণতা স্বার্থপরতার সঙ্গে। একজন এম এস সি এল এল বি গলা খাঁকারি দিয়ে সশব্দে থুতু ফেলছেন বাড়ির বারান্দা অথবা জানলা দিয়ে, একজন খুব রোম্যান্টিক গজল গায়ক সন্ধের ঝোঁকে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে নিজের তলপেট হালকা করে নিচ্ছেন এইসব এবং আরও অনেক আপাতবিরোধী অবিশ্বাস্য দৃশ্য এখানে দেখা যায়। এই তো সেদিন গড়িয়াহাট মিনি চারমিনারের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন করে ফেলছিলেন জনৈক সুবেশ ভদ্রলোক, মনে হয় কোনও মার্চেন্ট অফিসের অফিসার। ছাই রঙের সুট। র সিল্কের টাই। ‘নো স্মোকিং’ বিজ্ঞপ্তিটার ঠিক সামনের সিটেই বসেছিলেন। কমলিকা পেছনে। আপত্তি জানাবেন ভেবেছিলেন, মুখ খুলেই চুপ করে যেতে হল, অবিনাশবাবুর, মানে বাবা মার বাড়িঅলার বড় ছেলে। অসুখ বিসুখ করলে ডাক্তার ডেকে আনা, রাত জাগা পর্যন্ত করেছেন ভদ্রলোক। বাবার ছানি পড়ার থেকে বাজারে যেতে দ্যান না, বলেন —‘আমি তো যাচ্ছিই, আপনি আর খামোখা কষ্ট করতে যাবেন কেন কাকাবাবু।’ শ্বশুর মশাইয়ের এই অভ্যাসটাকে কমলিকা ভয় পান। বারান্দা দিয়ে থুতু ফেললে এখানে তলার ফ্ল্যাটে পড়বে। তলার ফ্ল্যাটের মিসেস বড়ুয়া হয়ত তখন ঊর্ধ্বমুখে চুলের জট ছাড়াচ্ছেন···। আর পিকদানি কে পরিষ্কার করবে? জবা করবে না। দুর্গা বলে যে ঠিকে লোকটি কাজ করে চামচিকে মরে পড়ে থাকলেও সে ঘেণ্ণায় মূর্ছা যায়। তাহলে বাকি রইলেন তিনি।
এই ছোট্ট অথচ জরুরি সমস্যাটার কথা কাউকে বলা যাবে না। একমাত্র ভরসা শ্বশুরমশাইয়ের নিজেরই যদি জিনিসটা খেয়াল হয়। সুদীপ বেরোবার সময়ে বলে গেলেন—‘বাবু এসেছে এই উপলক্ষ্য করে যদি বাবাকে আনা যায়। তুমি ফোন করে রেখো। আমি আসার পথে নিয়ে আসবো।’
বাবু বলল—‘আমি তো ও-বাড়ি যাচ্ছিই। আমিই নিয়ে আসবো এখন। তুমি সোজা বাড়ি চলে এসো। আমি ব্রেকফাস্ট করেই চলে যাচ্ছি।’
কমলিকা বললেন—‘তুই না বলে গেলে রীণার অসুবিধে হতে পারে। লাঞ্চ করে যাস।’
বাবু কথাটা হেসেই উড়িয়ে দিল—‘খাওয়াটা আবার একটা প্রবলেম মা! তারপর দিলে তো একগাদা ব্রেকফাস্ট!’
একগাদা ব্রেকফাস্ট! ছেলেটা কি আজকাল অ্যামেরিকান কলেজীদের মতো ডোনাট চিবিয়ে আর কোক গিলে থাকে না কি? হেভি ব্রেকফাস্ট মণির জন্যই বিশেষ করে করতে হয়। সারাদিনের জন্যই একরকম বেরিয়ে যায় ও। সুদীপকেও তাই দ্যান কমলিকা। বয়স হচ্ছে। ভাতটাত বেশি খাওয়া ভালো না। ভুঁড়িটা সত্যিই বেড়েছে। ওদেশে সবজিগুলো হত পেল্লাই। কিন্তু খেতে ঘাসের মতো। মাংস তো বীফ বা পর্ক ছাড়া খাওয়াই চলে না। এখানে গুচ্ছের ভালো সবজি। প্রচণ্ড খাওয়ার ঝোঁক। পছন্দসই রান্না হলে একথালা ভাত মেরে দেবে। সবার অভ্যাস পাল্টালো, ওর পাল্টালো না।