চোরাই ধন – চতুর্থ অংক
চতুর্থ অংক
অজিত, বিভাবতী
বিভাবতী– আজ কি তোমার ছাত্র আসবে, বেলা চারটে বাজে।
অজিত–কে সুধীর? এসেছে ত। হু। ফলিত গণিতে সুনেত্রা ও সুধীরের দুজনেরই বেশ আগ্রহ।
বিভাবতী– ছেলেটিত তার পিতার ব্যাঙ্কের অংশীদার হয়ে ব্যাঙ্কে নিয়মিত যেতে শুরু করেছে।
অজিত– হ্যাঁ। ওর পিতা এখন নেই, কিন্তু উনি বেঁচে থাকতেই ত সুধীরকে ব্যাঙ্কে অংশীদারের পদে বহাল করেছিলেন।
বিভাবতী– সুধীরের মা ত অনেক আগেই চলে গেছেন, আর পিতাও চাকরিতে ওকে বহাল করেই বিদায় নিলেন।
অজিত– হু, সুধীরের এখন আপন কেউ নেই। ছেলেটি বেশ ভালো।
বিভাবতী– সুনেত্রার সাথে সুধীরের বিয়ে হলে বেশ হয়।
অজিত– বলো কি বিয়ে? সুধীরকে জামাই করবে?
বিভাবতী– কেন তোমার পছন্দ হয় না?
অজিত– আগে দুজনের ঠিকুজি কুষ্ঠি তাহলে দেখে মেলাতে হবে।
বিভাবতী– ও, তাই। যদি–
কোন গড়মিল হয়?
অজিত– তাহলে আর কি, বিবাহ হবে না।
বিভাবতী– তোমার মেয়ের মন কি বোঝো, ওরা কিন্ত পরস্পরকে ….
অজিত– সুনেত্রার বর্তমান সময় খুব ভালো, “একদশে বৃহস্পতি” যা ধরবে, তাই সোনা ….হা হা হা
বিভাবতী– আর সুধীরের?
অজিত– হ্যাঁ, ঠিক, ওর ঠিকুজি নিশ্চয়ই আছে, নাহলে জন্ম সন তারিখ বললে তৈরি করা যাবে।
বিভাবতী– যদি দুজনের না মেলে তবে কি?
অজিত– হু, গ্রহ নক্ষত্রই আসল, ওখানে মিল না হলে কোনমতেই বিবাহ হবে না।
বিভাবতী– তুমি কি ওর ঠিকুজি চেয়েছ?
অজিত– না, তাড়া কিসের?
বিভাবতী– তুমি কি অন্ধ? মেয়ের মন বোঝ না।
অজিত– সুনেত্রা আমার মেয়ে। সেও গ্রহ নক্ষত্র মেনেই বিবাহ করবে।
বিভাবতী– তাহলে ওদের মেলামেশা কি এতো ঠিক হচ্ছে।
অজিত– সে তো পাঠের সুবাদে। সুনেত্রা সুধীরের চেয়ে অনেক মেধাবী, গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান, রাশিচক্র খুব ভালো বোঝে।
বিভাবতী– বুঝলাম।
অজিত– এই ত ওরা দুজনে কেমন পাঠ নিয়ে আলোচনা করছে।
বিভাবতী– তবে তুমিও পড়ার ঘরেই যাও।
অজিত– হ্যাঁ। এইবার যাবো।
বিভাবতী– কেমন পড়া হচ্ছে। বুঝতে পারছ?
অজিত– মানে?
বিভাবতী–গান শুনতে পাচ্ছ না? সুনেত্রা গাইছে।
অজিত– ও তাই বুঝি। তা একটু আধটু ভালো।
বিভাবতী– হু ভালো। ইষ্ট দেবতা খুসী হলে আরও ভালো।
গান– তুমি কি এসেছ মোর দ্বারে….