একটা সময়ের অবসানে
অন্ধকার গোলকধাঁধা-
সীমাবদ্ধ দেয়ালে ঠক্ ঠক্ হাতুড়ির ঘা ;
সবটুকু থেকে সব রঙ নিয়েছে কেড়ে –
যাবতীয় সময়ের নির্মাণ গেছে থেমে।
ক্ষয়ে গেছে ঢালাই পথ-
বড় এক গভীর খাদ,
জীবনের চারদিকে ক্ষতের চোরাস্রোতে বিদ্ধস্থ আগামীর সময়!
স্তব্ধ রাতের বধিরতায় ছন্নছাড়া ভয়।
অন্ধ ব্যুহে ঘুমিয়ে আছে,
একান্ত আপন সমস্ত দিনের অস্থিরতা;
আর তবে হবে না ছোঁয়া!
চলে যাবে,দূরে! আরো আরো বহুদূরে মুহূর্তগুলো শূন্য থেকে শূন্যে হারায়।
ইথারে ভেসে আসে বায়বীয় প্রতিধ্বনি— –
ঠিকানা বদলে গেছে,
কোন ছুতোয় হবে না আর দেখা;
“ভেবো না! ভেবো না কিছু;
দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে।”
” ‘চলি তবে! ভালো থেকো সময়ের সাথে।
জাপটে ধরতে ছুটে যায় বিসর্জনের কাঠামোকে…. ঘুমের প্রান্ত ছুঁয়ে ভাঙা পাঁজরের এক অথর্ব প্রয়াস, নিঃস্বতার রাত্রি ঘিরে নীরব পল ব্যাথার আকুতি জানায়;
শরশয্যায় শায়িত সম্পূর্ণ যবনিকার প্রতীক্ষায়।
নিস্তব্ধ নির্জন প্ল্যাটফর্মের দিকে তাকিয়ে-
ভেঙে পড়া সময় ;
অসীমের প্রান্ত ছুঁয়ে- খোঁজে শুধু মাটির গভীরে, ‘জাতকের বীজ’ জীবন জুড়ে স্মৃতির চিহ্নগুলো- অশ্রু দিয়ে বাঁধা।।