উৎসব আসে, উৎসব যায়, পড়ে থাকে শুধু তোমার ওই কাঠামোটুকু।
আবার কাঠমোতে মাটির প্রলেপ পড়তেই,
মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী হয়ে ওঠো তুমি।
শিল্পী তার জাদু স্পর্শে, নান্দনিক দৃষ্টিতে সৃষ্টি করে তোমার প্রতিমা।
তুলির নিপুণ টানে চক্ষুদানে প্রাণে তোমার পরশ জাগে।
কখনো তুমি দশভূজা মা শক্তিদায়িনী,
কখনো তুমি চতুর্ভূজা মা কালী।
কালকে তুমি কলন কর বলেই সৃষ্টিকর্তা মহাকালের বুকে ডান পা বাড়িয়ে তুমি দক্ষিনা কালি।
বাঁ পা বাড়িয়ে মা তুমি বামা কালী।
তোমার অন্ধকার রূপের মধ্যে আলোর খোঁজ,
বেঁচে থাকার আলোর লড়াই।
তুমি জাগিয়ে যাও মা মনেতে আলোর আশা।
সকলে ভক্তি ভরে চেয়ে থাকে, তোমার ওই মায়াময় চোখের দিকে। বুঝতে কি পারো ওই গভীর চোখের ভাষা!
চেয়ে দেখো ওই চোখে লেখা আছে জীবনের ওঠা-পড়া, ভাঙা-গড়া, জয়-পরাজয়, সুখ- দুঃখের ইতিহাস। জীবনের গল্প, মানুষ হয়ে ওঠার লড়াই।
একটু আলোর খোঁজ অন্তরেতে,
আর একটু প্রাণে আন্তরিকতার ছোঁয়ায়।