চাহিদা পূরণ – পর্ব ৬
কিছুটা সময় বারান্দায় কাটানোর পর সুমেধার মনে হয় একটু ফুল তুলে নিয়ে পুজোর ঘরে রাখবে।স্নানের জন্য গিজার অন করে মোবাইলটা অন করতে গিয়ে একটু চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে, তারপর মোবাইলকে বলে
কিছু সময়ের বিরতি নিলাম তোমার থেকে,
বাঁচতে চাইছি কিছুটা ক্ষণ প্রকৃতির সাথে ।
স্নানের জন্য বাথরুমে যায় সুমেধা, মনে মনে বলে ভালো থাকার ইচ্ছেটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।স্নান সেরে আস্তে আস্তে নিচে নেমে দরজা খুলে বেরিয়ে আসে, কমপ্লেক্সের সামনে ফুল বাগানে, নিজের মনে ফুল তুলতে তুলতে গান গেয়ে ওঠে পুরানো সেই দিনের কথা… পাশের ফ্ল্যাটের অধিকারী গিন্নি বলে ওঠেন তোমার গানের গলাটা বেশ সুন্দর কখনো শুনিনি আগে, সুমেধা হেসে বলে কাজের চাপে নিজেদের ভালোলাগা গুলো যেন হারিয়ে যাচ্ছে মাসিমা, কতোদিন পরে পুজোর জন্য ফুল তুলতে এলাম,আজ ভোরের আকাশটা যেন সুন্দর মনোরম, ইচ্ছে করছে আজ অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে থাকি কিন্তু… অধিকারী গিন্নি বলেন কি আর করবে বলো, আমার মেয়ে ফোন করলেও ঐ একই কথা বলে। ফুল তুলে পুজোর ঘরে বসে নিজের মতো পুজো করে নেয়, মনে মনে প্রার্থনা করে বলে হে সর্বশক্তিমান সবাইকে রক্ষা করো, জীবনে চলার পথে যেন সঠিক সিদ্ধান্ত সব সময় নিতে পারি, নীশা দেবী সুমেধাকে পূজোর ঘরে দেখে একটু অবাক হয়ে যান, তারপর বলেন খুব ভালো লাগছে তোমায়, সুমেধা: মা চা দেবো? নীশা দেবী: না তুমি বরং ছেলেকে ঘুম থেকে তোলো, নতুবা দেরি হয়ে যাবে। সুমেধা নিজের ঘরে ঢুকে জোজোকে ডাকে: জোজো সোনা উঠে পড়ো এবার..