চাহিদা পূরণ – পর্ব ৪৩
অফিসে যাওয়ার সময় তদ্ভবের ম্যাসেজ বাঁচতে ইচ্ছে করে না,পাঁকে থাকতে থাকতে কখন নিজেই জীবনটাকে নরক বানিয়ে ফেলেছি…. সুমেধা কোনো রিপ্লাই দেয় না । অফিসে পৌঁছে কিছুটা কাজ এগিয়ে অফিসারের কথামত রিক্তার খুনের ঘটনার কথা আলোচনা করতে শুরু করে আশেপাশে।কিছুজন জটলা করে কথা বলতে থাকে, হঠাৎ চরুদা এসে সুমেধাকে বলে আপনাকে স্যার ডাকছেন। সুমেধা গম্ভীর হয়ে বলে যাচ্ছি , আশেপাশে তাকিয়ে বলে যে যার নিজের কাজ করুন। বসের কেবিনে পৌঁছে দেখেন বস কাজে ব্যস্ত, সুমেধা: আসবো স্যার? ডেকেছিলেন? বস: আপনি এরকম গসিপ করছেন অফিসে, কি ব্যাপার? সুমেধা: না স্যার, সবাই জিজ্ঞেস করে, আমি বেশি কথা বলিনি, ওরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিল, তবে স্যার কাল পুলিশ অফিসার ফোনে জানান একাধিক জনের ফিঙ্গার প্রিন্ট পেয়েছে,ব্যাপারটা ভাবাচ্ছে।বস: রিক্তা আমাদের কম্পানির রেপুটেশন খারাপ করে দিয়েছে, কি বলবো আপনাকে হেল্পলেস লাগে মাঝে মাঝে। আপনাকে যে জন্য ডেকেছি আমার স্ত্রীর শরীরটা ভালো নেই, কাল আসতে পারবো না, একটু সামলে নেবেন। সুমেধা: ওকে স্যার। বাড়িতে ফিরে দেবাংশুকে ল্যাপটপে কাজ করতে দেখে কফি করে আনে। দেবাংশু: অফিসের কি খবর? তদন্তের কোনো নতুন মোড়? সুমেধা: পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে, দেখা যাক। সুমেধা মনে মনে যেন একটা আতঙ্ক অনুভব করে, কি ঘটতে চলেছে আগামীতে কে জানে! দিন দুয়েক কোনো পুলিশের ফোন বা নতুন তথ্য পায় না, সুমেধা। জোজোর স্কুলে অভিভাবকদের দেখা করার নোটিশ পেয়ে সেদিন সুমেধা জোজোর স্কুল হয়ে অফিসে পৌঁছায় একটু দেরীতে,বস নিজের কেবিনে নেই,চরু দা এসে বলে একটু আগে বেরিয়ে গেছেন।হঠাৎ পুলিশ অফিসারের ফোন করে থানায় আসতে পারবেন? সুমেধা:হ্যাঁ স্যার। ফোনটা পাওয়ার পর থানায় পৌঁছে দেখে অফিসার দাঁড়িয়ে আছেন, সুমেধা: বলুন স্যার। খুনীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত কি হবে জানিনা, ওকে আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সুমেধার মাথায় বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে,ভীতভাবে বলে কে স্যার? অফিসার: রিক্তা অফিসের বেশ কিছু গোপন তথ্য জেনে গিয়েছিল, টাকা ও পেয়েছে কিন্তু এক্ষেত্রে খুনের মোটিভ বিশ্বাস ঘাতকতার শাস্তি ।