চাহিদা পূরণ – পর্ব ৪১
পরদিন সকালে অফিসে পৌঁছতে একটু দেরি হয়ে যায় জ্যাম থাকার জন্য, অফিসে পৌঁছে নিজের ডেস্কে বসে কাজ শুরু করে সুমেধা। দু একজন থানায় রিক্তার ব্যাপারে জানতে চাইলে সুমেধা বলে একটু কাজে ব্যস্ত আছি,পরে কথা বলছি, একটু থেমে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করাই ভালো, পুলিশ পুলিশের কাজ করুক। বস আজ অফিসে আসেন নি, কোনো কাজে বাইরে গেছেন।টিফিন ব্রেকের পর সুবল দাকে অফিসে আসতে দেখে সুমেধা, কয়েকদিন ছুটি নিয়ে বাইরে ছিল অফিসের কিছু দরকারী কাজে। সুবল দা অন্য সময় বাইরে থেকে ফিরে এসে হাসে, মজার গল্প বলতে পছন্দ করতো, রিক্তা অনেক সময় একটু বেশি ইয়ার্কি করলে লজ্জা পেয়ে যেত, নির্ভেজাল একটা ভালো মানুষ। কিন্তু আজ যেন কেমন বিদ্ধস্ত,উদভ্রান্ত লাগছিল মানুষটাকে। সুমেধা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে বলে রিক্তা তোর আসল মনের মানুষ না চিনে শুধু ক্ষমতাশালী আর বিত্তবান প্রেমিকের পিছনে দৌড়ে লাভ কি হলো ?যদি মধ্যবিত্ত বাড়িতে বিয়ের পর সুখী দাম্পত্য জীবনের স্বাদ পেতে চাইতিস তবে অকালে প্রাণটা দিতে হতো না,আর দেখ সুবল দা যে সত্যি ভালোবেসেছে কেমন কষ্ট পাচ্ছে! ভগবান তুমি কি সত্যি আছো, তবে এমন কেন হলো? অফিসের পর ওলা বুক করছে এমন সময় সুবল দা এসে দাঁড়ায়, আস্তে আস্তে বলে এবার বাইরে থেকে ফিরে রিক্তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেবো ভেবেছিলাম কিন্তু সেই সুযোগ পেলাম কি, আমাকে চিরফাঁকি দিয়ে চলে গেল…. সুমেধা: সত্যি, আমি ভাবতে পারছি না, রিক্তার বাড়িতে এইভাবে যেতে হবে, ভাগ্যের কাছে আমরা সবাই অসহায়, আপনাকে যে কি বলবো ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা, ওলা এসে যাওয়ায় কথা সম্পূর্ণ হয় না।