চাহিদা পূরণ – পর্ব ৪০
জোজোকে ঘুম পাড়াতে পাড়াতে কি যেন একটা অস্বস্তি বোধ হয়, মাথাটা যেন ভারি হয়ে ওঠে, রিক্তার মুখটা ভেসে ওঠে বারেবারে,ঘনিজের ঘরের বারান্দায় এসে দাঁড়ায়, কলেজের দিনগুলো মনে পড়ে, রিক্তা যখন নিজের জীবনটাকে শুধরাতে চেয়েছিল তখনই জীবন চরম ঠকিয়ে দিয়ে গেল। সাতপাঁচ নানা কথা ভাবতে ভাবতে কখন দেবাংশু এসে পিছনে দাঁড়িয়েছে সুমেধা বুঝতে পারে নি। দেবাংশু বলে বুঝতে পারছি তোমার মনের অবস্থা, তবু বলবো মন খারাপ করো না। সুমেধা একটু চুপ করে থাকার পর দেবাংশুকে বলে কিছু কথা তোমার জানা দরকার, আমি অনেকবার বলতে চেয়েছি কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলতে পারি নি, কিন্তু রিক্তার ঘটনার পর তোমার জানা দরকার, পুলিশ অফিসার পরবর্তীতে হয়তো আবার আমাকে ডেকে পাঠাতে পারে, তদন্ত শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটাই দেখার, আমার একসময়ের খুব কাছের বন্ধু যদিও এখন বন্ধু কথাটা আমার কাছে প্রহসনের সমান, তবু এক্ষেত্রে ওকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছে, পুলিশি হেফাজতে জেরার জন্য….. আমি ভাবতে পারছি না।প্রায় সমস্ত ঘটনা দেবাংশুকে বলার পর দেবাংশু গম্ভীর হয়ে ভেতরে চলে যায়। সুমেধা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে, দেবাংশু আবার এসে দাঁড়ায়, আস্তে আস্তে বলে আমাদের সবারই একটা অতীত আছে, শুনে কষ্ট পাচ্ছি হয়তো কিন্তু তুমি তোমার দিক থেকে বেকসুর, এককথায় সুন্দর মনের মেয়ে ছিলে,আছো.…. জোজো আমাদের ভবিষ্যত, নিজের পরিবারকে আমি খুব খুব ভালোবাসি… সুমেধা কেঁদে দেবাংশুকে জড়িয়ে ধরে।