চাহিদা পূরণ – পর্ব ৩৪
রাতে খাওয়াদাওয়ার পর সুমেধা জোজকে ঘুম পাড়িয়ে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে দেবাংশু পাশে বসে বলে কিছু হয়েছে অফিসে? সুমেধা তদ্ভবের কথা দেবাংশুকে বলতে গিয়ে বলতে পারে না , শুধু দেবাংশুর বুকে মাথা রেখে বলে ভালোবাসো এখনো আমায়? দেবাংশু হেসে বলে ধুর পাগলী, আমার মতো এমন সুন্দর বৌ খুব কম জনের ভাগ্যেই জোটে…. পরদিন রবিবার নিজেকে বাড়িতে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখতে চেষ্টা করে সুমেধা, মোবাইলে নেট কানেকশন বন্ধ করে রাখে। তারপর হঠাৎ মনে পড়ে অফিসে বসকে জানানো হয় নি, সোমবার অফিসে যেতে পারবে না, তাড়াতাড়ি বসের নাম্বারে ছুটি নেওয়ার কথা জানিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর বস রিপ্লাই দেয় ঠিক আছে, কিন্তু আমাকে কে ছুটি দেবে বলতে পারেন? আমারও ছুটির দরকার, সুমেধা কি উত্তর দেবে ভেবে না পেয়ে লেখে স্যার বাড়ির প্রয়োজনে ছুটি নিতে হচ্ছে। সোমবার সকালে উঠে জোজোকে স্কুলের জন্য রেডি করে, দেবাংশু স্কুল বাসে তুলে দিয়ে এসে সুমেধাকে বলে রেডি হয়ে নাও ব্রেকফাস্ট সেরে আমরা বেরিয়ে যাবো, মা যেহেতু যাবে না, আমাদের তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাওয়া ভালো। গোমতী দেবী বলেন সত্যি, এই সময়ে বাতের ব্যথার সমস্যাটা বাড়লো, তোরা একটু বুঝিয়ে বলিস। সুমেধা আস্তে আস্তে বাথরুমে যায়,স্নানের জন্য।স্নান সেরে বারান্দায় এসে দাঁড়ায়,বেশ সুন্দর সকাল। এমন সময় ফোনটা বেজে ওঠে, এসে মোবাইলে দেখে বসের ফোন, একটু চমকে উঠে বলে এখন কেন ফোন করছে! ফোনটা ধরতেই অপর প্রান্তে বস বলেন খুব বড়ো অঘটন ঘটেছে, তুমি এখনি অফিসে এসো, সুমেধা: কিন্তু স্যার আজ আমি ছুটি নেবো বলেছিলাম।বস: রিক্তা খুন হয়েছে, পুলিশ সুপার এইমাত্র ফোন করেছিলেন, আমি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছি না, কিন্তু থানায় যেতে হবে। মাথা ঠাণ্ডা রেখে বাড়িতে জানিয়ে এসো।